Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» »Unlabelled » রক্ত আমাশয় বা সাদা আমাশয়ে তেলাকুচা পাতার রস চিনি-সহ সেবনে উপকার হয়





তেলাকুচা এক প্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। সাধারণ ঝোপে-জঙ্গলে এই ভেষজ উদ্ভিদের দেখা মেলে। এটি লতানো উদ্ভিদ। এটি গাঢ় সবুজ রঙের নরম পাতা ও কাণ্ডবিশিষ্ট একটি লতাজাতীয় বহুবর্ষজীবী। স্থানীয় ভাবে একে ‘কুচিলা’, তেলা, তেলাকচু, তেলাহচি, তেলাচোরা, কেলাকচু, তেলাকুচা বিম্বী ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। অনেক অঞ্চলে এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। গাছটির ভেষজ ব্যবহারের জন্য এর পাতা, লতা, মূল ও ফল ব্যবহৃত হয়। তেলাকুচায় প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন আছে।
ভেষজ গুণ

    তেলাকুচা ফলে আছে ‘মাস্ট সেল স্টেবিলাইজিং’, ‘এনাফাইলেকটিক-রোধী’ এবং ‘এন্টিহিস্টামিন’ জাতীয় উপাদান। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় তেলাকুচা বহুল ব্যবহার রয়েছে কুষ্ঠ রোগের ক্ষেত্রে তেলাকুচার বহুল ব্যবহার রয়েছে।
    সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে তেলাকুচা ব্যবহার করা যেতে পারে। সর্দিজনিত জ্বরে পাতা ও মূলের রস ২-৩ চামচ একটু গরম করে সকাল-বিকেল খেলে ২-১ দিনেই জ্বরভাব কেটে যায়। ঋতু পরিবর্তনের ফলে, বিশেষ করে শীতের আগে ও পরে যাদের সর্দিজ্বর হয়, তারা যদি আগে থেকেই এ পাতার ও শিকড়ের রস একটু গরম করে সকাল-বিকেল সেবন করে, তবে এই জ্বর আক্রমণের ভয় থাকে না।
    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেলাকুচা কার্যকর ভূমিকা নেয়। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত তেলাকুচার ঝোল খেলে উপকার পাবেন।
    এ ছাড়া শোথ (ইডিমা), হাঁপানি, ব্রংকাইটিস ও জন্ডিস রোগের ক্ষেত্রে তেলাকুচার ব্যবহার রয়েছে।
    পেটে এমন কিছু গেছে যে এখনই বমি করানো দরকার। এ ক্ষেত্রে ৫-৬ চামচ পাতার রস খাইয়ে দিলে বমি হয়ে পেট থেকে অবাঞ্ছিত বস্তু বেরিয়ে আসবে।
    অত্যন্ত বায়ু বা পিত্তবৃদ্ধি হয়ে যদি মাথা গরম হয়, মাথা ধরে বা রাতে ভালো ঘুম না হয় অথবা অত্যধিক রোদে মাথা ধরে, সে ক্ষেত্রে তেলাকুচা পাতার রস কপালে মাখলে অথবা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় দিলে ওই সব উপসর্গে শান্তি হয়।
    রক্ত আমাশয় বা সাদা আমাশয়ে এর পাতার রস চিনি-সহ সেবনে উপকার হয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post