Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে উত্তাল দার্জিলিং: পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার





  গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে উত্তাল দার্জিলিং: পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের বনধ চলাকালে আজ আন্দোলনকারীরা একটি পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ‘গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা’র পক্ষ থেকে গত সোমবার থেকে সেখানে বনধ কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে ‘গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা’র সদস্যদের পুলিশি ধরপাকড় শুরু হতেই মোর্চা সমর্থকরা কালিম্পংয়ের পেডং পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

সকালে পাহাড়ের বিশেষ দায়িত্বে থাকা তিন আইপিএস কর্মকর্তা জাভেদ শামিম, অজয় নন্দা এবং সিদ্ধিনাথ গুপ্তার পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সিংমারিতে মোর্চার সদর দপ্তরে হানা দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। দরজা ভেঙে মোর্চার সদর দপ্তর ঢুকে সেখান থেকে উদ্ধার হয় কুড়ুলের মতো প্রচুর ধারালো অস্ত্র, তির-ধনুক এবং বিস্ফোরক।

এরপর পাতলেবাসে বিমল গুরুংয়ের বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ মোবাইল ফোন, তির-ধনুক ও নাইটভিসন ক্যামেরা উদ্ধার করেছে।

আজ সকাল থেকেই পুলিশ দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ে দফায় দফায় তল্লাশি চালায়। পুলিশ পাতলেবাস থেকে বেরিয়ে আসতেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মোর্চার নারী সদস্যরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। আন্দোলনকারীরা পাতলেবাসের বিভিন্ন জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

অন্যদিকে পুলিশের তল্লাশি ও বিভিন্ন জায়গায় চেকিংয়ের প্রতিবাদে পুনরায় অনির্দিষ্টকালের পাহাড় বন্ধের ডাক দিয়েছে মোর্চা।

এদিকে, মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙের দাবি, উদ্ধার হওয়া জিনিস চাষবাসের সামগ্রী। তির-ধনুকগুলো একটি স্কুলের তিরন্দাজির প্রতিযোগিতার জন্য রাখা ছিল। সেগুলোকেই অস্ত্র হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এটা আন্দোলন প্রতিহত করার একটা চক্রান্ত। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরির দাবি, 'পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্য পাহাড়ে অশান্তি শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে রাজ্য সরকার পুলিশকে ব্যবহার করছে।

মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিনয় তামাং বলেন, ‘পুলিশ আমাদের প্রথাগত তির-ধনুক আটক করে সেসব মজুত অস্ত্র বলে চালাচ্ছে। এই জন্যই আমরা গোর্খাল্যান্ড চাচ্ছি। আমাদের অধিকার, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সবকিছু ধরে রাখতেই গোর্খাল্যান্ড প্রয়োজন।’

গতকালই মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার পাহাড়ে যুব ও নারী মোর্চার পক্ষ থেকে মিছিল হবে। পুলিশ তা জোর করে আটকালে পাহাড়ে একনাগাড়ে বনধ হতে পারে। তখন তারা পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও বন্ধ করে দিতে পারেন। পুলিশ অবশ্য আজ নারী মোর্চার মিছিলে বাধা দিতেই বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ শুরু হয়েছে।

দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব মহর্ষি গোটা বিষয়ের উপরে নজর রাখছেন। কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে সেখানে ১০ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে।#
 






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post