রমজানে ইফতার সামনে রেখে খালেদা জিয়াসহ তার দলের নেতারা মিথ্যাচার করছে---ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার নয়, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের অনেককে আদালতের রায় ছাড়াই বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তাঁতি লীগের ঢাকা মহানগরের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের দেয়া বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মওদুদ সম্পর্কে বিএনপি যা বলছে, তা শুনে মানুষ হাসে। আদালতের রায়ে আপনাদের বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। আপনি (মওদুদ) নিজেই দুটি মামলার ফাইট করেছেন। তাহলে কি আপনার দুর্বল যুক্তির জন্য চলে গেছে?
বিএপির আন্দোলনের ডাককে আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কমিটিতে ৫৯৬ জন নেতা আছে। ওনারা একসঙ্গে মাঠে নেমে মিছিল করতে পারে না। নেতারা মাঠে না নামলে কর্মীরা কীভাবে মাঠে নামবে।
বিএনপির নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির প্রেস ব্রিফিংকারী নেতাদের ‘প্যাথলজিক্যাল লায়ার’ আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে ইফতার সামনে রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তার দলের নেতারা মিথ্যাচার করছে। এই দলের লোকজন এত মিথ্যা কথা বলে, যে তাদের নৈতিকতার ভিত্তি দুর্বল।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে আবার ২০০১ সালের মতো বিভীষিকাময় দিন ফিরে আসবে। তারা (বিএনপি) আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি পুড়িয়েছে, পুকুরের মাছ ধরে নিয়েছে, গবাদি পশু নিয়ে গেছে। আর এখন বিএনপি নেত্রী বলেছেন, ক্ষমতায় আসলে এক কাপড়ে বের করে দেবেন। তাহলে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসলে তারা কত ভয়ংকর হবে?
অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে দলের নেতাকর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ যাওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানবন্দরে সরকারিভাবে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও পুলিশ প্রধানদের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এগিয়ে আসার জন্য বলেছেন। একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তাঁতি লীগের সভাপতি শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ ও কার্যকরী সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্ত বক্তব্য রাখেন।