লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ব্যানকন-৮ (ইউনিফিল) এ যোগদানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ নৌবাহনীর ১৩৫ সদস্যের প্রথম গ্রুপ সোমবার রাতে চট্টগ্রামস্থ শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। নৌবাহিনীর এই ১৩৫ সদস্য লেবাননে মোতায়েনকৃত নৌবাহিনী জাহাজ 'আলী হায়দার'’ ও 'নির্মূল’-এ যোগদান করবেন।
চট্টগ্রাম ত্যাগের প্রাক্কালে বানৌজা ঈসা খান-এর অধিনায়ক কমডোর এম মুসা লেবাননগামী নৌসদস্যদের বিদায় জানান। এ সময় নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও লেবাননগামী নৌসদস্যদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া আগামী ২২ জুন আরো ১৩৫ জন নৌ সদস্যের দ্বিতীয় গ্রুপটি লেবাননের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ত্যাগ করবে। অপরদিকে লেবাননে অবস্থানকারী ব্যানকন-৭ (ইউনিফিল)-এর নৌসদস্যগণ দুটি গ্রুপে আগামী ১৩ ও ২৩ জুন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবে বলে আশা করা যায়।
সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত ও উজ্জ্বল রাখতে সকল নৌ-সদস্যদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান বানৌজা ঈসা খান এর অধিনায়ক কমডোর এম মুসা।
উল্লে¬খ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১০ সালে প্রথমবারের মত নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ সরাসরি লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে। যুদ্ধ জাহাজ দুটি ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে ইউনিফিলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। জাহাজ দুটি লেবাননের ভূ-খন্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সাথে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি লেবানীজ জলসীমায় জাহাজ দুটি মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানীজ নৌসদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ করে যাচ্ছে।
বিগত ৭ বৎসর ধরে অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।