ব যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সকলে সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট কোলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভক্ত জার্মানি ও ইউরোপীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার অন্যতম স্থপতি হেলমুট কোল মারা গেছেন। সাবেক এই জার্মান চ্যান্সেলর শুক্রবার জার্মানির রাইনল্যান্ড প্রদেশের লুদভিগহাফেন শহরে নিজ বাসভবনে মারা যান।
৮৭ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন। ১৯৩০ সালে তার জন্ম হয়েছিল এই শহরেই। তার বাবা ছিলেন একজন রাজস্ব কর্মকর্তা।
১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ষোলো বছর কোল জার্মান চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নব্বই পরবর্তী সারা বিশ্বে হেলমুট কোলকে দুই জার্মানি পুনঃএকত্রীকরণের চ্যান্সেলর বলে অভিহিত করা হতো।
খবর সিনহুয়া’র।
ঐক্যবদ্ধ জার্মানির অন্যতম কারিগর সাবেক চ্যান্সেলর হেলমুট কোল ১৯৯০ সালে বলেছিলেন, আমরা পূর্বাঞ্চলে পরিস্ফুটিত অর্থনীতি গড়ে তুলব, কিন্তু আদতে ব্যাপারটি এত সহজ ছিল না, তারপরও হেলমুট কোল ঐক্যবদ্ধ জার্মানির সংস্কারকে যথেষ্ট এগিয়ে নিয়েছিলেন।
জার্মান ঐক্যের অনেক আগে থেকেই হেলমুট কোল ও ফরাসি নেতা ফ্রান্সিস মিতেঁরা পুরোধা হয়ে ইউরোপীয় জাতিগুলোর সমন্বয় এবং একটি সমন্বিত ইউরোপীয় অর্থনীতি গড়ার প্রয়াস পেয়েছিলেন।
হেলমুট কোলের মৃত্যুতে জার্মান ও বিশ্ব রাজনীতিকেরা তাদের প্রতিক্রিয়াতে বলেছেন, জার্মান তথা ইউরোপীয় ঐক্যের এই অন্যতম নেতা বিশ্ব রাজনীতিতে চির অ¤œান থাকবেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেন, ‘হেলমুট যুদ্ধকে ঘৃণা করতেন।’
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তবে তিনি একচ্ছত্রবাদকে আরো বেশি ঘৃণা করতেন।’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বলেছেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু’ হেলমুটের এই মৃত্যুতে আমি ‘গভীরভাবে ব্যথিত’। তার ‘ভাবতান্ত্রিক’ নেতৃত্ব ২১ শতকের জন্য জার্মানী ও গোটা ইউরোপকে গড়ে তোলে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হেলমুটকে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু ও মিত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘হেলমুট শুধু জার্মান পুর্নএকত্রীকরণের জনকই ছিলেন না, তিনি শুধু ইউরোপের জন্যই না বরং গোটা আটলান্টিকের উভয়কূলের দেশগুলোর পক্ষেই কথা বলেছেন। বিশ্ব তার দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রচেষ্টায় উপকৃত হয়েছে। তার এই অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জেন ক্লঁ জাঙ্কার বলেন, ‘হেলমুট কোল একজন মহান ইউরোপীয় ও খুব ভাল বন্ধু ছিলেন।’