Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ভয়> ভারত তো খেলবে ১৫ জনে মাঠের দু’‌জন আম্পায়ার, থার্ড আম্পায়ার এবং রিজার্ভ আম্পায়ার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি?





ভয়> ভারত তো খেলবে ১৫ জনে মাঠের দু’‌জন আম্পায়ার, থার্ড আম্পায়ার এবং রিজার্ভ আম্পায়ার  চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি?
 
  ফেসবুকে ভারতকে আক্রমণ
 <ভারতের সংবাদ   aajkaal  সুত্র>   চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি? নাকি এবারের এই ট্রফির নাম হওয়া উচিত অঘটনের ট্রফি? দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দল, যারা এবার ট্রফি জেতার জন্য প্রবল মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল, তারাও গেল ছিটকে। ইংল্যান্ডের দাপটে অস্ট্রেলিয়া ফিরে গেছে সিডনি। ভারতের কাছে কানমলা খেয়ে হেরেও পাকিস্তান দিব্যি লড়াই চালিয়ে গেল ১২ জুন পর্যন্ত। বাংলাদেশ যেভাবে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে তা প্রায় রূপকথার মতো। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ একেবারে বিরাট কোহলিদের সামনে। ভারতকে হারালেই ফাইনাল এবং গোটা দল যেভাবে ‘‌উই শ্যাল ওভারকাম’‌ গানের বাংলা তর্জমা করে গাইতে শুরু করেছে, তাতে তাদের ‘বুকে গভীর আছে প্রত্যয়’–‌এর ছবিটাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ এখন আর ক্রিকেটে কচি খোকা নয়। তাই যখন যেখানে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে তারা, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের মধ্যে যে অবনতির কথা ফুটে বেরোয় সেটা অন্যায়। বাংলাদেশ খেলবে ভারতের বিরুদ্ধে, এটা জানার পর থেকেই ফেসবুকে বাংলাদেশের সমর্থকেরা টিপ্পনী কেটে একটা ঝগড়া করার আবহ তৈরি করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন। ভারত তো খেলবে ১৫ জনে। ১১ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে মাঠের দু’‌জন আম্পায়ার, থার্ড আম্পায়ার এবং রিজার্ভ আম্পায়ারের কথা বোঝাতে চাইছেন তাঁরা। ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারত নাকি গায়ের জোরে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। এ জাতীয় টিপ্পনীতে আসর ক্রমশ সরগরম হয়ে উঠছে। বার্মিংহাম পৌঁছে গিয়েছেন মাশরাফিরা। বিরাটরা সোমবার থেকে গেলেন লন্ডনে। ভারতীয় দূতাবাসের আমন্ত্রণ রক্ষার জন্য। ওঁরা বার্মিংহাম যাবেন মঙ্গলবার। ১৪ জুন প্র্যাকটিস করে পরের দিন সেমিফাইনাল খেলতে নামবেন শিখর ধাওয়ানরা। এটাই আপাতত পরিকল্পনা।
ভারতীয় শিবিরকে যিনি ব্যাটে সবচেয়ে বেশি নির্ভরতা দিচ্ছেন, সেই শিখর ধাওয়ান এখন সবচেয়ে বেশি রান করেছেন এবার এখানে। এবং তা করতে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্রুততম হাজার রানের সীমানা অতিক্রম করার কৃতিত্ব অর্জন করলেন। এই রেকর্ড করার পথে তিনি টপকে গেলেন সৌরভ গাঙ্গুলি, শচীন তেন্ডুলকারকে। ১৬টা ম্যাচ লাগল শিখরের হাজার রান করতে। সৌরভের লেগেছিল ২০ ম্যাচ, শচীনের ১৮। এই রেকর্ড ভেঙে দিলেন শিখর। মূলত কাট ও পুল শটকে মূলধন করে এখানে ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। পরপর দুটি ম্যাচে মিডল অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানদের সেভাবে পরীক্ষা দিতে হল না শিখর এবং বিরাটের জন্য। সব মিলিয়ে হঠাৎ জমজমাট ভাব। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যাওয়ার পর ম্রিয়মাণ হয়ে যাওয়া শিবির আবার চাঙ্গা। কে যেন ভারতের হয়ে আবার নতুন করে চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করেছেন। ফাফ ডু’‌প্লেসিস পর্যন্ত বলে গেলেন, ‘ভারত–‌ইংল্যান্ড ফাইনাল হবে এবং আমি বাজি ধরব ভারতের পক্ষে।’ ফাফ অবশ্য স্বীকার করে নিলেন যে দক্ষিণ আফ্রিকার ছিটকে যাওয়ার জন্য তিনি নিজেও খানিকটা দায়ী। কারণ এবি ডি’‌ভিলিয়ার্সকে রান আউট করে দেওয়া।
আর এ–‌সবের ফাঁকে অনেকেই কিন্তু বোলারদের কৃতিত্ব দিতে ভুলে যাচ্ছেন। নতুন বলে অনভ্যস্ত যশপ্রীত বুমরা যেমন বলে গেলেন, ‘অধিনায়ক আমাকে যে স্বাধীনতা দিয়েছে, ওটাই হল ভাল বোলিং করার প্রধান শর্ত। আমি খুশি যে বিরাট আমার ওপর আস্থা রেখেছে। এবং বলেছিল, আমি নিজের খুশিমতো বোলিং করতে পারি। অর্থাৎ কিনা কোনটা ইয়ার্কার দেব, কোনটা বাউন্সার দেব, কেমন ফিল্ডিং সাজাব, এ–‌সব ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিল আমাকে। আমি অত্যন্ত দায়িত্ববোধ থেকেই শুরু থেকে চাপে রাখতে চেষ্টা করেছিলাম দক্ষিণ আফ্রিকাকে। নতুন বলে বোলিং করাটা একটা ব্যাপার বটে। বলতে গেলে সামান্য প্রস্তুতি নিয়েই আমি বোলিং করতে নেমে পড়েছিলাম রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। সামগ্রিকভাবে এমন টাইট বোলিং সাম্প্রতিককালে করিনি। তবে উল্টোদিক থেকে ভুবনেশ্বর কুমারও মাথা তুলতে দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের। উইকেটে ছিল না ঘাস। ছিল না সুইং। ছিল না কোনও ল্যাটারাল মুভমেন্ট। তাই আক্রমণ শানানোর জন্য আমরা লাইন ও লেংথের দিকে আগাগোড়া নজর রেখেছিলাম। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ভুল করানোর দিকে সোজা বলের ফাঁদটাই তৈরি রাখছিলাম দু’‌জনে।’
সব মিলিয়ে ভোটের ফলাফলের চেয়েও এখানে আলোচনা হচ্ছে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে পৌঁছনো নিয়ে। তা হলে কি ইংল্যান্ড এবার চ্যাম্পিয়ন হবে? আগাগোড়া দাপট দেখিয়ে আসা ইংল্যান্ড দল যে ভাল খেলছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তা বলে বিপক্ষকে উড়িয়ে দেবে ইংল্যান্ড, এমন কথা জোর দিয়ে বলা যায়? ইংল্যান্ডের প্রচারমাধ্যম এমনই, তারা বরাবরই নিজেদের দলকে সবচেয়ে যোগ্যতম দল হিসেবে চিহ্নিত করে আকাশের কাছাকাছি রেখে এসেছে। জানি না ফাইনালের আগে তারা এই উন্মাদনাকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। অধিকাংশ ইংরেজই মনে করেন তাঁরাই সেরা দল, প্রচারের এই ফানুসটা বিরাটরা নিঃশব্দে ফাটিয়ে দিতে চান।‌‌
 
 






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post