মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর সদর. গাংনী, মুজিবনগর সহ তিন্ উপজেলার টুকরো খবরগুলো দেখুন ///// আপনী ও শেয়ার করুন
ষ্টাফ রিপোটার//
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসটি সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স ও স্মৃতিসৌধ ও শেখ হাসিনা মঞ্চ এলাকা পরিদর্শন করেছেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা অাওয়ামীলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
এসময় সংসদ সদস্য সাংবাদিকদের বলেন, ঐতিহাসকি মুজিবনগর দিবসের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের এমপি। সভাপতিত্ব করবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম । এছাড়া ডজন খানেক মন্ত্রী,এমপি ওই জনসমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।
জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ বলেন, ইতি মধ্যে দিবসটি পালন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে।
পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বলেন, দিবসটিকে
মেহেরপুরে বিষমুক্ত শজনের আবাদ
মেহেরপুরের জনপদে এখন অনেক ভাল ভাল সবজির আবাদ হয়, এর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে শজনে।
এখন শজনের মৌসুম। ফাল্গুন মাসের প্রথমদিক থেকেই গাছে আসতে শুরু করে শজনে। চৈত্র মাস জুড়ে বিক্রি হয়। এ সবজিটি এক সময় মেহেরপুরের সর্বত্র চাষ হতো। তবে এখন মুজিবনগর এলাকায় বেশি চাষ হয়।এই মৌসুমে সাহারবাড়ি এলাকায় শজনের ভাল ফলন হয়েছে ।
সদর উপজেলার বাড়িতে বাড়িতে শজনে গাছের দেখা মেলে। ফলন ভাল হওয়ায় অনেকেই নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে আবার বিক্রিও করছেন। এভাবে জেলার প্রতিটি বাগান এলাকায় এবং বাড়িতেও শজনে চাষ হচ্ছে। শজনের ভাল ফলন পেতে কোনো সার বা বিষ প্রয়োগের প্রয়োজন হচ্ছে না। মেহেরপুর সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের আদর্শ কৃষক শফিকুল ইসলাম-এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, বাগানের উঁচু-ঢালু স্থানের মাটিতে শজনের ভাল ফলন হয়। কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, ‘আমাদের কয়েকটি গাছ রয়েছে। প্রতিবছর সবকটি গাছে শজনে ধরে। নিজেদের খাবারের পর বিক্রি করে ভাল টাকা পাওয়া যায়।’ তিনি আরো জানান, মৌসুম শেষে গাছের কিছু কিছু ডাল কেটে দিতে হয়। এতে নতুন ডালে বেশি ফলন হয়।
মুজিবনগরের বাসিন্দারা জানান, তাদের বাড়ি বাড়ি শজনে গাছ রয়েছে। এ বছর গাছে শজনের ফলনও ভাল হয়েছে। তাই নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি তারা শজনে বিক্রিও করছেন।
তারা জানান, শজনে চাষে কোনো খরচ নেই। বরং বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামের পাইকারি ক্রেতা মামলত হোসেন জানান, ‘গ্রামে এখনও কিছু কিছু বাড়িতে শজনের চাষ হয়। তবে বেশি চাষ হচ্ছে বাগোয়ানে। তাই আমরা সেখান থেকে শজনে ক্রয় করে বাজারে খুচরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি। এতে ভাল লাভ হচ্ছে, ক্রেতারাও বিষমুক্ত শজনে খেতে পারছেন।’ ক্রেতা শিক্ষক মহাসিন আলি জানান, ‘এক আঁটি শজনে ৪০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। এ সবজি খেয়ে স্বাদ পাওয়া যায়।’ আরেক ক্রেতা কামরুজ্জামান জানান, ‘সজনে খেতে হলে শুকনো শিমের বীজ ও শুঁটকীর প্রয়োজন। সঙ্গে মাছ দিলে আরও ভাল স্বাদ পাওয়া যায়।’
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তফিজুর রহমান বলেন, পাহাড়ে প্রায় প্রতি বাড়িতেই শজনের চাষ হচ্ছে। সবজিটির পুষ্টিগুণও ভাল। তাই আমরা এই সবজিচাষে চাষিদের উৎসাহ প্রদান করছি।
মেহেরপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪১ আসামি গ্রেফতার
মেহেরপুরে বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৪১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত জেলার সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে এসব আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে জিআর, সিআর মামলায় আদালতের পরোয়ানাভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামি রয়েছে।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের গোপনীয় শাখার সহকারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব জানান, চলমান বিশেষ অভিযানে জিআর, সিআর, নিয়মিত মামলা ও মাদক মামলায় ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মেহেরপুরে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
মেহেরপুরে গাঁজাসহ জাহাঙ্গীর আলম (৩৬) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার রাতে শহরের পৌর কলেজমোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মনছুর আলীর ছেলে। ডিবি’র এস.আই সায়েম জানান, কুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে গাঁজা বিক্রির উদ্দেশ্যে এক মাদক ব্যবসায়ী মেহেরপুর শহরে প্রবেশ করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পৌর কলেজমোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী চালিয়ে ৫শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।