Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি জোরদারে ঢাকা ও দিল্লীর অঙ্গীকার





সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি জোরদারে ঢাকা ও দিল্লীর অঙ্গীকার

  বাংলাদেশ ও ভারত আজ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি জোরদারের পাশাপাশি অপরাধ কার্যক্রম মুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ সীমান্ত গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। নয়াদিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠককালে তারা এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরে এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির পাশাপাশি অপরাধ কার্যক্রম মুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ সীমান্ত গড়ে তোলার ব্যাপারে উভয়ই অঙ্গীকারাবদ্ধ। তিনি বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী তিস্তার মতো অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পদ্মা-গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্প এবং আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকা ভিত্তিক ব্যবস্থাপনাসহ পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইস্যুতে আলোচনা করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি দ্রুততার সাথে এসব ইস্যুর সমাধানে আমরা ভারতের সমর্থন পাবো।’ তিনি বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় চমৎকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাদের এই বৈঠককে ফলপ্রসু হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি জানান, ‘পারস্পরিক উদ্বেগ ও অগ্রাধিকারের ব্যাপারে আমাদের বোঝাপড়া আরো এগিয়ে নিতে আমাদের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের সকল দিক নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ এবং বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অমূল্য অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, এ জন্য ‘আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।’ তিনি বলেন, তাঁর বর্তমান দিল্লী সফরকালে ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী শহীদ সদস্যদের সম্মান জানাতে পেরে তিনি আনন্দিত।
একাত্তরের গণহত্যার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় নয়াদিল্লী সমর্থন দিতে সম্মত হওয়ায় তিনি এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি একমত হয়েছেন যে, এ দুটি দেশের উন্নয়নে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘কাজেই আমরা খুলনা-কলকাতা রুটে নতুন যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস, পরীক্ষামূলকভাবে খুলনা-কলকাতা দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং মালামাল পরিবহনের জন্য বিরল-রাধিকাপুর রেলপথটি পুনরায় চালু করতে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে ভাল পারষ্পরিক সহযোগিতা বিদ্যমান রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ উদ্বোধন করেছি এবং নেপাল এবং ভুটান থেকে ক্রসবর্ডার বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, দু’দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে আরো বেশকিছু উদ্যোগ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে গৃহীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি দু’দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক ঘাটতি বাড়তে থাকার বিষয়টি মেনে নিয়ে এ বিষয়ে তাঁর সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়েও আশ্বস্থ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পাট রপ্তাানির ক্ষেত্রে ‘এন্টি ডাম্পিং শুল্ক’ আরোপের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার বিষয়েও আলোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি।’
দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সমতা আনয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশের বিভিন্ন নির্দিষ্ট স্থানে ভারতের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করারও উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য সকল বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগই বড় শক্তি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সে কারণেই আমরা আমাদের আগরতলা ভিসা অফিসকে যুগোপযোগী করে সম্প্রতি সহকারী হাইকমিশন এবং গৌহাটিতে আরেকটি নতুন সহকারী হাইকমিশন খুলেছি।
ভারতও বাংলাদেশে আরো অনেকগুলো ভারতীয় ভিসা অ্যাপলিকেশন সেন্টার (আইভিএসি) খুলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলো আমাদের মধ্যকার পারষ্পরিক আত্মবিশ্বাস এবং বিশ্বাসের ভিতকে মজবুত ও সম্প্রসারিত করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ দুটি দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ফলে বিবিধ জায়গায় সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুুত হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, শান্তিপূর্ণভাবে পারমাণবিক জ্বালানির ব্যবহার, আউটার স্পেস, যোগাযোগ প্রযুক্তি, গণমাধ্যম প্রভৃতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ইতোমধ্যেই প্রসংশনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করেছে এবং খুব দ্রুতই শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে পাওয়ার হাউজ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও এখন একটি সন্তোষজনক হারে এগুচ্ছে, ৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। আমরা সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব এবং উদ্ভাবনী চিন্তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এরফলে যে ভারতই শুধু দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে তা নয় বরং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও যোগ করছে নতুন মাত্রা।
তিনি বলেন, ‘একটি সমন্বিত এবং টেকসই সম্পর্ক সৃষ্টির আমাদের যে লক্ষ্য তা আমাদের যৌথ ঘোষণায় প্রতিফলিত হয়েছে। এখন আমাদের এই ঘোষণাকে কাজে পরিণত করে এর একটি শক্ত ভিত প্রদান করতে হবে।’
আসন্ন বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের জনগণকে ‘শুভ নববর্ষ’ বলে বাংলায় নববর্ষ ১৪২৪-এর আগাম শুভেচ্ছা জানান।







«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post