বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে বর্জন করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র করতে জঙ্গি বর্জন ও জঙ্গির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে বর্জন করতে হবে। এবারের রাজনীতির যাত্রায় জঙ্গি দমন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও নির্বাচন করার পাশাপাশি জঙ্গির পৃষ্ঠপোষকদের বর্জন করা হবে।
আজ (শুক্রবার) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-ঐক্য পরিষদের নবম জাতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সংবিধান সবাইকে সমান চোখে দেখে। কিন্তু সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে বিপর্যয় হয়েছে। সে বিপর্যয়ের ফলে দেশে রাজনৈতিক সমস্যা রয়ে গেছে। একবার রাজাকারের সরকার, একবার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সরকার। রাজনীতির এই মিউজিক্যাল চেয়ার যতদিন চলবে, ততদিন দেশের গরিব, সাধারণ মানুষ, আদিবাসী সম্প্রদায়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষে হুমকি বা বিপদের মধ্যে থাকবে। তাই মিউজিক্যাল চেয়ার বন্ধের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জঙ্গি দমন, জঙ্গির পৃষ্ঠপোষকদের বর্জন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মাটি অসাম্প্রদায়িক, এই মাটি সবার। এই মাটিতে জঙ্গি-দানবের কোনো জায়গা নেই। ধর্মের বিকৃতি পাপতুল্য। মসজিদ-মন্দির ভাঙা হচ্ছে মানুষের হৃদয় ভেঙে দেয়া। যারা মসজিদ, মন্দিরে, গির্জায় আক্রমণ করে তারা মানুষের হৃদয়টা ভেঙে দেয়। আমরা, আমাদের সরকার এবং সংবিধান অনুযায়ী তা সমর্থন করি না। জঙ্গিবাদ ধ্বংস করার ব্যাপারে একমত।
সম্মেলনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে তার দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকবে। এছাড়া সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ কোটার ব্যবস্থার কথাও উল্লেখ থাকবে।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, দেশের সংবিধানে আশা ছিল যে সকল নাগরিকের সমান সুযোগ পাবে রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। আন্দোলন করে বা সব রাজনৈতিক দল মিলে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে।
সম্মেলনে সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) সি আর দত্ত, হিউমার গোমেজসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।#