Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচেনর প্রস্তুতি নিন আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে কোন অপকর্ম করা চলবে না --- সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের




 মহসীন আলী আঙুর //ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচেনর প্রস্তুতি নিন আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে কোন অপকর্ম করা চলবে না --- সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের
মুজিবনগরে যে সরকার শপথ নিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সরকার প্রধান করে সেদিন যে সরকার গঠিত হয়েছিল। সেই সরকারের অধিনে মুজিবনগর সরকারের বেতন ভোগ করতো এবং সেক্টর কমান্ডার ছিল তাদের দল ১৭ এপ্রিল পালন করে না।
সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের মুজিবনগরের আ¤্রকাননের শেখ হাসিনা মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত মুজিবনগর দিবসের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের। ওবাইদুল কাদের বলেন, ১৭ এপ্রিল যারা পালন করে না, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাইও বিশ্বাস করে কি না আমার সন্দেহ আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা লালন করে, ১৭ এপ্রিল সরকার গঠনের চেতনাকেও তাদের লালন করতে হবে। যারা লালন করে না, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও প্রকারন্তেও অস্বীকার করে। এটাই হচ্ছে আজকের বাংলাদেশের বাস্তবতা। তাদের আজ কোনো চেতনা নেই, মূল্যেবোধ নেই, সৌজন্যবোধ নেই।

ওবাইদুল কাদের আরো বলেন, শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের বিস্ময়। শেখ হাসিনাকে বিএনপি নেত্রী শুধু হাসিনা বলেন। খুবই বাজে কথা। আমরা তো কখন্ই আপনাকে বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া বলি না। বিশ্বের ১০জন জনপ্রিয় নেতার একজন শেখ হাসিনা। তাকে যখন শুধু হাসিনা বলে অপমান করা হয়। তখন আমাদের অপমান করা হয়। আমাদের পার্টিকে অপমান করা হয়। আমাদের চেতনাকে অপমান করা হয়। আমাদের নেতৃত্বকে অপমান করা হয়।  সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন তারা শুধু ইস্যু তৈরি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে। বিএনপিকে এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টি বলা হয়। নির্বাচনে নিজেরাই ভুল করে যায়নি। চোরাবালিতে আটকে গেছে। পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে জনগণের শুধু ঘৃণা পেয়েছে। একটার পর একটা ইস্যু তৈরি করা ছাড়া আর কাজ নেই। এখন সবশেষে ভারত জুজু। গেলরে গেল ইন্ডিয়া হয়ে গেলে। শেখ হাসিনা কেন গেলেন ইন্ডিয়া, কেন এত সম্মান। সর্বোচ্চ সম্মান। এটা তাদের গাত্রদাহ। তিন্তা তাদের অন্তরে নাই। গঙ্গা যাদের অন্তরে আছে তিস্তা তাদেরও অন্তরে আছে। বিএনপির ইস্যু তৈরির কারখানা আছে। সেখানে একটার পর একটা ইস্যু করা হয়। ইস্যু জনগণের কোন কাজে আসে না। ইস্যু মাঠে মারা যায়। এই বছর না ওই বছর। আন্দোলন হবে ওই বছর। দেখতে দেখতে আট বছর। এই কুষ্টিয়া এলাকার অনেক নদী মরে গেছে। মরা গাঙে পানি থাকেনা। বিএনপির এখন মরা গাঙ। জোয়ার আর আসে না।
তিনি বলেন, আন্দোলনের ডাক দিয়ে নেতারা হিন্দি সিরিয়াল দেখে। তো আন্দোলন হবে কেমনে। ৫৯৬ জনের কমিটি। এই কমিটির ৫০ জনও তো মাঠে যেতে পারেন তাও যান না। তাদের আন্দোলন তারা করুক।
মেহেরপুরের নেতাকর্মীরাদের সতর্ক করে ওবাইদুল কাদের বলেন, সিলেটে কাউয়া বলেছিলাম। এখানে কাউয়া বলবো না। তবে এখানেও ফার্মের মুরগী ঢুকে গেছে। দেশী মুরগী স্বাস্থ্য সম্মত। ফার্মের মুরগী  স্বাস্থ্যেও জন্য ক্ষতিকর। ফার্মের মুরগীর চাপে দেশী মুরগী কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। পুরো মঞ্চে নেতা আর নেতা। বিলবোর্ডেও দিকে তাকেল আদি নেতা, পাতি নেতা, ছোট নেতা, বড় নেতা। একেক জনের একের রকম চেহারা। তবে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে কোন অপকর্ম করা চলবে না। অপকর্ম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। আওয়ামীলীগ এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আপনারাও ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচেনর প্রস্তুতি নিন।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমার পিতা এখানে শপথ নিয়েছিলেন। তাই এখানে আসলে মনে হয় আমার বাবাকে দেখছি। এজন্য প্রতিবছর এখানে ছুটে আসি। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধিনেই আগামী নির্বাচন হবে। অন্য কোন সম্ভাবনা নাই। সংবিধান অনুযায়িই হবে। এর বাইরে যাওয়ারা সুযোগ নাই। সেই নির্বাচনে জনগণ যে রায় দিবে আমরা তাই মেনে নিবে। আমরা কুমিল্লায় হেরে গিয়েছিলাম মেনে নিয়েছি। গতকাল বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে আমাদের বিজয় হয়েছে। নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। যে কোন মূল্য আগামী নির্বাচনের শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আমরা আবার সরকার গঠন করবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আরো সম্মানী করা হবে, তারা যাতে প্রথম শ্রেণীর নাগরিকের মর্যাদা পায় সেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে ঘোষনা দিয়েছেন । আগামী ঈদের আগে মে মাসের ভাতার সাথে অতিরিক্ত হিসেবে ঈদ বোনাস আপনাদের তাদের কাছে পৌছে যাবে।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগরকে আকর্ষনীয় করার জন্য বর্তমান অবকাঠামোকে পরিবর্তন করে আন্তজার্তিক মানের করে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমপ্লেক্স সবসময় চালু রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে এখানে পদায়ন করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির নেতারা দাবি করেন তাদের দল মুক্তিযদ্ধের চেতনার দল। জিয়াউর রহমান কখনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। একাত্তর সালে যুদ্ধ চলছিল সেই সময় জুনের প্রথম দিকে পাকিস্তানের কর্নেল আসলাম জিয়াউর রহমানকে চিঠি লিখেছিল। চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, তোমার কর্মকান্ডে আমরা খুশি। তোমার স্ত্রী সন্তান ভাল আছে। তুমি তোমার কর্মকান্ড চালিয়ে যাও। এই চিঠিতেই প্রমান হয় জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন।
 তিনি আরো বলেন, আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে পরিণত হবে। সেই স্বপ্নের পথে একমাত্র বাধা বিএনপি-জামায়াত। আজকের দিনের শপথ হোক পাকিস্তানের পেত্মাত্মদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার।
মুজিবগর আম্রকাননের শেখ হাসিনা মঞ্চে অনুষ্ঠিত জনসভায় মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবর রহমান সিরাজ, নির্বাহী সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন, সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি, সাধারন সম্পাদক এম এ খালেক, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সদও উদ্দিন খান, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ,চুয়াডাঙগা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, মেহেরপুর জেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।  এর আগে জাতীয় নেতৃবন্দরা মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পৌছিয়ে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন। শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন শেষে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পওে বাংলাদেশ নেতৃবৃন্দরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলন শেষে বিজিবি, আনছার ব্যটালিয়ন এবং গার্লস ও বয়জ স্কাউট সদস্যরা কুচকাওয়াজ পরিবেশন করেন এসময় অতিথিরা তাদের সালাম গ্রহণ করেন। জনসভার আগে আনছার সদস্যদেও পরিবেশনায় হে তারুণ্য তুমি দাড়াও শীষক উপস্থাপনা পরিবেশন করা হয়।
এদিকে ভোরে সূর্যদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ মুজিবগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন কওে দিবসটির সুচনা করেন।
মুজিবনগর দিবসের জনসভায় মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ঝিনাইদহসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা, রাজিৈনতক নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন
 
 






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post