মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর সদর. গাংনী, মুজিবনগর সহ তিন্ উপজেলার টুকরো খবরগুলো দেখুন ///// আপনী ও শেয়ার করুন
ষ্টাফ রিপোটার//
মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে ১২শ পিচ ভারতীয় উইনোপাম ইনজেকশন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে মুজিবনগর থানার এস আই ইয়ামিন এর নেতৃত্বে সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বল্লভপুর গ্রামের পুকুর পাড়ের লিচু গাছের উপর ২টি বস্তার ভিতর ১২টি প্যাকেটের ভিতর থেকে ইনজেকশনগুলো উদ্ধার করে।
মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইনজেকশনগুলো উদ্ধার কা হয়েছে।উদ্ধারকৃত ইনজেকশনের মূল্য আনুমানিক ৬লক্ষ টাকা হবে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের একহাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাস করে কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ টি এম মুসা এ আদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- সদর উপজেলার টেঙার মাঠ গ্রামের জুলমত ডাকাতের ছেলে বাশারুল ও মহিদুল, গাংনী উপজেলার দিঘলকান্দী গ্রামের রিফাত আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদুল কানা, এবং সাহেব আলী, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শিতলাইপাড়ার আমজাদ মোল্লার ছেলে এনামুল ওরফে ইন, একই গ্রামের গোলজার শেখের ছেলে মান্নান , গাংনীর সাহেবনগর গ্রামের ফকির আলীর ছেলে মো: নাজির, গাংনীর রামনগর কাজীপুরপাড়ার কালা চানের ছেলে মোহন ও আব্দুল লতিফের ছেলে অজিত। একই মামলায় চাঁদ আলী ও জাপান নামের দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদেশ দেওয়ার সময় শুধুমাত্র শহিদুল ইসলাম ও ওরফে শহিদুল কানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা সকলেই পলাতক রয়েছেন।
২০০৮ সালের ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে ডাকাতরা মোটরসাইকেল লুট করে নেওয়ার সময় ডাকাতদের চিনে ফেলায় সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের লোকমান হোসেন ও হালিমা খাতুন নামের দুই জনকে গলাকেটে হত্যা শেষে গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে লাশ রেখে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। পরদিন সকালে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। ওই দিনই বিকালে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলায় ১৬ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে কামরুল হাসান আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।
মেহেরপুর সদর উপজেলার শালিকা গ্রাম থেকে ১৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ পলাশ, আরসাদ ও আজিম নামের ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বুধবার রাতে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সায়েম হোসেন সদর উপজেলার শালিকা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটককৃত পলাশ পিতা- ইয়াদুল, আরসাদ পিতা-আজিম উদ্দীন ও আজিম পিতা-আদম আলীর বাড়ি সদর উপজেলার শালিকা গ্রামে
এস আই সায়েম হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শালিকা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এসময় পলাশ, আরসাদ ও আজিমের চলাফেরায় সন্দেহ হলে তাদের আটক করে তল্লাশি করে তাদের ৩ জনের কাছে থেকে মোট ১৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
মেহেরপুরের গাংনীতে তামাকের ভারী বোঝা মাথায় নিতে রাজী না হওয়ায় একই পরিবারের চারজন কে পিটিয়েছে তামাক মালিক
মেহেরপুরের গাংনীতে তামাকের ভারী বোঝা মাথায় নিতে রাজী না হওয়ায় একই পরিবারের চারজন কে পিটিয়ে আহত করেছে তামাক মালিক আনছার আলী ও তার ছেলেরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার সময় কাথুলীতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন,কাথুলী গ্রামের মোফাজ্জেল হক (৫০),তার স্ত্রী আহারন নেছা ( ৪০),ছেলে মহিবুল ইসলাম (২৩) ও সজীব (২৭)। আহতদের উদ্ধার করে গাংনী ও মেহেরপুর জেনালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মহিবুল ইসলাম জানান,শ্রমিক হিসেবে আনছার আলীর তামাকের জমিতে কাজ করতে যায়। এসময় ভারী তামাকের বোঝা মাথায় না নেওয়ার তামাক মালিক আনছার আলী, তার ছেলে মিলন,হেলাল ও ভাতিজা মুন্না আমাকে মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এসময় আমার বাবা মা ও ভাই মারপিট ঠেকাতে এলে তাদের মারপিট করা হয়। আহত মোফাজ্জেল হক জানান,তামাকের ভারী বোঝা মাথায় না নিয়ে গাড়িতে করে বোঝা বহন করতে চাইলে বাধা দেন আনছার আলী ও তার ছেলেরা। এ ঘটনা কেন্দ্র করে আমাদের চার জন কে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুুতি চলছে।
আহত সজীব জানান,গত দু বছর পূর্বে আনছার আলীর ছেলে মিলনের কাছে তামাক বিক্রি না করার কারনে জোর পূর্বক চার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। আহত আহারন নেছা জানান,তার ছেলে মহিবুল ইসলাম মেহেরপুর পৌর কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন দারিদ্রতার কারনে পড়ালেখা করতে না পেরে সম্প্রতি লেবারের কাজ করে সংসার চালায়। আনছার আলী ও তার ছেলেরা আমাদের মারপিট করে জখম করে এবং মহিবুলের মাথা ফাটিয়ে দেয়। স্থানীয়রা জানান,আনছার আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারনে তাদের ভয়ে কেই মুখ খুলতে সাহস পায়না। একারনে দিনের পর দিন কাথুলী এলাকায় অধিপত্য বিস্তার করে চলেছেন। একই পরিবারের চারজন পিটিয়ে মারাত্বক আহত করার ঘটনায় দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান এলাকা বাসি।
এব্যপারে অভিযুক্ত আনছার আলীর পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলতে চাইলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন,আনছার আলী ও তার ছেলে অন্যায় কাজ করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা দায়ের পূর্বক আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।
মেহেরপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৩৭ জন আসামী গ্রেফতার
মেহেরপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৩৭ জন আসামী কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতভর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পযর্ন্ত মেহেরপুরের তিন উপজেলার পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মেহেরপুরের পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান জানান, মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় রাতভর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ৩৭ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে জেআর,সিআর,মাদক ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত মামলার আসামী।