বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উঠে এসেছে: যৌথ ঘোষণা
শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উঠে এসেছে বলে দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ ঘোষণায় দাবি করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় এই যৌথ ঘোষণা যৌথভাবে প্রকাশ করে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যৌথ ঘোষণায় শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক যে ইতিহাস, সংস্কৃতি আর ভাষা দিয়ে গাঁথা তা আরও দৃঢ়তার দিকে যাবে। দুই দেশ একই অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ দিয়ে পরিচালিত। দুই দেশের মধ্যে রয়েছে আরও অসংখ্য মিল ঘোষণায় উল্লেখ করেন তারা।
দুই প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে অটুট, অংশীদারিত্বের। সব দিক এতে বিদ্যমান, আর তা সার্বভৌমত্ব, সমতা, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আস্থার ভিত্তিতে গঠিত। আর এই অংশীদারিত্ব যেকোনো কৌশলগত অংশীদারিত্বের চেয়েও বড় কিছু। এই অঞ্চলে শান্তি, সবার সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দুই নেতা তাদের পুরোনো অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে।
যৌথ ঘোষণা সম্পর্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, ঘোষণার ৬২টি অনুচ্ছেদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব বিষয়ের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।
তিনি বলেন, চিন্তার মধ্যে আসে এমন সব বিষয়ই এই যৌথ ঘোষণায় রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে উভয় দেশ তাদের ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার পথে এক সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। ভারতের সার্বিক উন্নয়নে তার নেয়া দৃঢ় পদক্ষেপ ও উদ্যোগগুলোর কথাও বলেন তিনি।
একইভাবে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে তার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া শেখ হাসিনার নেয়া পদক্ষেপের কারণেই বাংলার যে উন্নয়ন তা সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, শান্তি, স্থিতিশীলতাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার সাহসী ভূমিকারও প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান ও ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন তিনি।#