বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরোধিতার মুখে প্রস্তাবটি পাস হতে পারেনি। ইদলিব প্রদেশের কথিত ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গত সপ্তাহে মার্কিন নৌবাহিনী সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার কারণ জানাতে গিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার উপ রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির স্যাফরনকোভ বলেছেন, প্রস্তাবটিতে রাশিয়ার উদ্বেগ ও অগ্রাধিকারগুলোকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। তিন দেশ ঘটনার ব্যাপারে কোনো নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত না করেই দোষী সাব্যস্ত করে ফেলেছে। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ আইন ও রীতিনীতির পরিপন্থি।
প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বিতর্ক শুরু হওয়ার আগে স্যাফরনকোভ বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাসায়নিক হামলার জন্য প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে অভিযুক্ত করে ভুল করছে। এখন পর্যন্ত কেউ ওই হামলার স্থান পরিদর্শন করেই দেখেনি অথচ এর দায় একজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বুধবার রাতে প্রস্তাবটির ওপর ভোটাভুটিতে ১০ দেশ এর পক্ষে ভোট দেয়। রাশিয়া ও বলিভিয়া এটির বিরোধিতা করে এবং চীন, ইথিওপিয়া এবং কাজাখস্তান ভোটদানে বিরত ছিল।
রাশিয়ার এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। তিনি তার ভাষায় বলেন, সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দেশটির সরকারকে জবাবদিহীতার আওতায় আনার পথে রাশিয়া প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।#