সুমন/রিপন/খোকন//
জল্পনা-কল্পনা এখন তুঙ্গে কে জিতবে মেহেরপুর পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী।
আগামী ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে। পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট যুদ্ধের খবর।
মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার পাড়ার পূর্বদিক, বাসস্টান্ড, শহীদ আরজ সড়কের দক্ষিণ দিক, নজরুল স্কুল সড়ক, সরকারী কলেজপাড়ার একাংশ, গরুর হাটপাড়া, স্টেডিয়াম, পাড়া, ভূমি অফিস পাড়া ২ হাজার ৮শ ৯ জন ভোটার নিয়ে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার মুক্তা (ব্রিজ)
মেহেরপুর পৌরসভা শহরের হোটেল বাজার এলাকার মৃত আবুল কালামের ৭ সন্তানের বড় ছেলে আব্দুস সাত্তার মুক্তা ছাত্রদলের রাজনীতি করে উঠে এসেছেন। পরে যুবদল হয়ে এখন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিএনপির সমর্থন নিয়ে এবারের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। ব্রিজ প্রতীক নিয়ে মানুষের দারে দারে ঘুরছেন। তার নিজস্ব কিছু ভোট ব্যাংক থাকায় এবারের নির্বাচনে ভোটাররা তাকেই কাউন্সিলর হিসেবে বেছে নিবেন এমনটাই মনে করা হচ্ছে। গত উপ-নির্বাচনে প্রথম বারের মত প্রার্থী হয়ে ২য় স্থান অধিকার করা আব্দুস সাত্তার মুক্তা এবারের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি। তিনি বলেন, গত ২৪ বছর এই ওয়ার্ডের কোন উন্নযন হয়নি। এ ওয়ার্ডের রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সকড় বাতি সবকিছুই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। সুপেয় পানিরও রয়েছে চরম সংকট। তিনি নির্বাচিত হলে এসকল সমস্যার সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি মাদক, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে কাজ করে একটি মডেল ওয়ার্ড গঠন করতে চাই। তিনি মনে করেন বর্তমান কাউন্সিলর রিপন ও রিন্টুর সাথে তার ভোট যুদ্ধ হতে পারে।
সাবেক কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাবলু (পানির বোতল)
মেহেরপুর পৌরসভা বাসস্টান্ড এলাকার ছৈফতুল্লার ৩ সন্তানের বড় সন্তান তৌহিদুল ইসলাম বাবলু সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু গত নির্বাচনে কৌশলগত কারনে নির্বাচন থেকে বিরত ছিলেন। এবারের নির্বাচনে পানির বোতল নিয়ে নির্বাচন করছেন। বিএ পাশ করা বিনয়ী স্বভাবের মানুষ হিসেবে পরিচিত বাবলু এবারের ভোটে নির্বাচিত হবেন এমন আশা নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। বর্তমান কাউন্সিলরকে ব্যার্থ উল্লেখ্য করে তিনি বলেন আব্দুস সাত্তারের সাথে তার তার ভোট যুদ্ধ হবে। তিনি নির্বাচিত হলে আগের মতই সকলকে নিয়ে কাজ করার অঙ্গিকার করেন।
বর্তমান কাউন্সিলর সৈয়দ মঞ্জুরুল কবীর রিপন (ডালিম
মেহেরপুর পৌরসভা শহরের পশু হাসপাতাল পাড়ার সৈয়দ হুমায়ন কবীরের ২ সন্তানের ছোট ছেলে সৈয়দ মঞ্জুরুল কবীর রিপন ১টি কন্য সন্তানের জনক। তিনি এবার ডালিম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। গত নির্বাচনে বিজয়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপুল নিহত হলে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পরে প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পান। তিনি বলছেন প্রায় আড়াই কোটি টাকার কাজ করেছেন। যার মধ্যে রাস্তা ড্রেন ও আর সিসির কাজ রয়েছে। এবারের নির্বাচনে আব্দুস সাত্তারের সাথে তার ভোট যুদ্ধ হবে।
রিন্টু রহমান (উটপাখি)
মেহেরপুর পৌরসভা হোটেল বাজার পাড়ার খবির উদ্দিনের ৪ সন্তানের ছোট সন্তান রিন্টু রহমান প্রথমবারের মত উটপাখি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তবে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি তরুন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রিন্টু রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে জনকণ্যান মূলক কাজের পাশাপাশি মাদক, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে কাজ করবেন। তিনিও মনে করেন মুক্তার সাথেই তার ভোট যুদ্ধ হবে।
মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুক্তাফিজুর রহমান বাবুল (টেবিল ল্যাম্প)
মেহেরপুর পৌরসভা শহরের কলেজ পাড়ার মফিহুর রহমানের ৪ সন্তানের বড় সন্তান মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল ২ কন্যা সন্তানের জনক। তিনি এবার টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে তৃতীয় বারের মত নির্বাচন করছেন। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ডিগ্রি পাশ করা মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের সম্মান দেওয়াটা আগে নিশ্চিত করবেন, সেই সাথে গরীবের হক গরীবদেও মাঝে বিলিয়ে দিবো। এর ওয়ার্ডকে পরিস্কার পরিচ্ছন রাখবো। তিনি মনে করেন মুক্তার সাথে তার ভোট যুদ্ধ হবে।
মেহেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিংকু মাহমুদ (পাঞ্জাবি)।
মেহেরপুর পৌরসভা ২৫ এপ্রিল নির্বাচনের তফশীল ঘোষনা হওয়ার আগে স্থগীত হওয়া নির্বাচনে অনেক আশা নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও কয়েক মাসের বয় কম হওয়ায় মনোনয়ন জমা দিতে ব্যার্থ হয়েছিলেন। পওে নতুন তফশীলে তিনি নির্বাচন করার জন্য তফশীল জমা দিয়ে স্বস্থির নিশ্বাস ফেলছেন। যার কথা হচ্ছে সে হচ্ছেন রিংকু মাহমুদ। শহরের আয়ুব হোসেনের ছোট ছেলে তিনি। একটি কন্যা সন্তানের জনক রিংকু বলেন, মনে হয় আমার জন্যই নির্বাচনে পুন:তফশীল ঘোষনা করা হলো। তার জন্য তিনি মহান আল্লাহর কাছে হাজারো শুকুর জানান। তিনি বলেন নির্বাচিত হলে মানুষের ডাকারা আগেউ তিনি তার কাছে হাজির হবেন। তিনিও মনে করেন আব্দুস সাত্তার মুক্তার সাথে তার ভোট যুদ্ধ হবে।