তুরস্কে ঐতিহাসিক গণভোটের রায় এরদোগানের পক্ষে
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের ক্ষমতা বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে নির্বাচনের পথে হেঁটেছিল তুরস্ক। রবিবার সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়িলদিরিম জানান, ক্ষমতাবৃদ্ধিতেই রায় দিয়েছেন জনতার বড় অংশ। ৯৯ শতাংশ ভোট পড়ে। ‘ইয়েস’ ভোট দিয়েছেন ৫১.৩ শতাংশ। অন্য দিকে, ‘নো’ ভোট দিয়েছেন ৪৮.৭ শতাংশ মানুষ। এই রায়ের পরে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এরদোগান।
তুরস্কে চলছে ভোট গণনা; এর্দোগানের ক্ষমতা আরও বাড়তে পারে
তুরস্কে আজ (রোববার) সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে গণভোট শেষ হয়েছে। এখন ভোট গণনা চলছে। আজকের গণভোটের মধ্যদিয়ে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দেশটির জনগণের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হবে।
আজকের গণভোটে ‘হ্যাঁ’ এর পক্ষে বেশি ভোট সংবিধানের সংশোধনী অনুমোদন পেয়ে যাবে। এমনটি হলে সংবিধানে প্রস্তাবিত সংশোধনী কার্যকর করা হবে। এর ফলে তুরস্কের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে। দেশটিতে পরিপূর্ণভাবে চালু হবে প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকার ব্যবস্থা। এতে দেশের সকল নির্বাহী ক্ষমতার মালিক হবেন প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর কোনো পদ থাকবে না।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এর্দোগান পরবর্তী দুই মেয়াদে নির্বাচিত হলে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। দেশটির আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ সালে।
সংবিধানের সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সংশোধনীর পর থেকে একজন প্রেসিডেন্ট দুই মেয়াদে ১০ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। গণভোটকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চলেছে। এর্দোগানের বিরোধীরা বলেছেন, সংবিধান সংশোধন করা হলে প্রেসিডেন্ট এর্দোগান কার্যত একনায়কে পরিণত হবেন।#