দ্বিতীয়বার বিয়ে পুটিনের প্রাক্তন স্ত্রীর
তাঁর গর্জনে বাঘে–গরুতে একঘাটে জল খায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনই যার বড় প্রমাণ। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বনাম হিলারি যত না হয়েছে, তার চেয়ে পুটিন বনাম ডেমোক্র্যাটস রবই বেশি করে কানে এসেছে। নিন্দুকদের দাবি, সিআইএ–র ঘেরাটোপ পেরিয়ে তিনি নাকি নির্বাচনে কলকাঠি নেড়েছেন। এ হেন ভ্লাদিমির পুটিনকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। দুই মেয়েকে লোকচক্ষুর নজরে রেখেছেন, এমনকী প্রাক্তন স্ত্রী ল্যুদমিলা পাভলিচেনকোকে কোনও আশ্রমে রেখে এসেছেন বলে গত কয়েক বছর ধরে গুজব উঠছিল। তবে এ সব একেবারেই ঝুটো। প্রাক্তন স্ত্রীর ওপর কোনওরকম জোরই নাকি খাটাতে পারেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুটিনের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে, নিজের থেকে বয়সে দু’দশক ছোট ফরাসি নাগরিক আর্থার ওসেরেতনির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন ৫৯ বছরের ল্যুদমিলা। সম্প্রতি এই খবর সামনে এসেছে। গত বছরই বিয়ে হয়েছে তাঁদের। আর্থার একটি অলাভজনক সংস্থার মালিক তিনি। দু’জনে মিলে ফ্রান্সের বিয়ারিতজে একটি বিলাসবহুল বাড়িও কিনেছেন। যা নাকি পুটিন ও ল্যুদমিলার বড় মেয়ে ক্যাটরিনা তিকোনোভার বাড়ির খুব কাছে। ১৯৮৩ সালে ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে পূর্ব জার্মানিতে বিয়ে হয় ল্যুদমিলার। প্রায় তিন দশক এক সঙ্গে থাকার পর ২০১৪ সালে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন দু’জনে। তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে। প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবর গোপনীয়তা অবলম্বন করেছে ক্রেমলিন। বিচ্ছেদের পরে ল্যুদমিলা কোথায় ছিলেন তা কাউকে জানানো হয়নি।