Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » হাতিরঝিলে এ্যাম্ফিথিয়েটার, মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী





   হাতিরঝিলে এ্যাম্ফিথিয়েটার, মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাজধানীর হাতিরঝিলে নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের জন্য ‘গ্রান্ড মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেইন’ এবং এ্যাম্ফিথিয়েটার উদ্বোধন করেছেন। তিনি এগুলোকে নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের জন্য ‘বাংলা নববর্ষ-১৪২৪’ এর উপহার বলে উল্লেখ করেন।
লেকের পানির ওপর নির্মিত এই এ্যাম্ফিথিয়েটার এবং মনোরম মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেইন হাতির ঝিল প্রকল্পের অধীনে নগরবাসীর বিনোদনে নতুন সংযোজন। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ বলে নির্মাতারা উল্লেখ করেছেন। এই এ্যাম্ফিথিয়েটারের আসন সংখ্যা দুই হাজার।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ (রাজউক) এবং ঢাকা ওয়াসা’র সহযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবিহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন (এসডব্লিউও-পশ্চিম) এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ এই এ্যাম্ফিথিয়েটার এবং মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেইন উদ্বোধন করে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচ্ছন্ন রাখার এবং যতযত্র এটা সেটা ছুড়ে ফেলে একে অপরিষ্কার- অপরিচ্ছন্ন না করা এবং এর প্রতি যতœবান হবার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাতিরঝিলের মনোরম পরিবেশে মহানগরীর বিপুল সংখ্যক মানুষ ও দেশি-বিদেশী পর্যটকরা এই ফাউন্ডেইন পরিদর্শনকালে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রকল্প পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাইদ মোহাম্মদ মাসুদ ফাউন্টেইন এবং এ্যাম্ফিথিয়েটারের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিক অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে কর্মরত। এই জীবনযুদ্ধে হিমসিম খাওয়া মানুষগুলোর তো মাঝে মাঝে একটু চিত্তবিনোদনের প্রয়োজন হয়।
তিনি বলেন, জীবন নিয়ে যাদেরকে চিন্তাযুক্ত থাকতে হচ্ছে সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে- সেখানে তাদের জীবনটাকে একটু সহজ করার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে যেমন খাদ্য নিরাপত্তা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, তাদের গৃহের ব্যবস্থা, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থায় ইতোমধ্যে আমরা ব্যাপক কাজ করেছি। অন্তত এইটুকু বলতে পারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন- আর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তিনি চেয়েছেন আর্থ-সামাজিক উন্নত একটি দেশ গড়ে তুলতে।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করায় আমাদেরর দুর্ভাগ্য তিনি সেটা করে যেতে পারেননি। এরপর ২১ বছর আমরা বঞ্চিত ছিলাম এবং তাই ক্ষমতায় আসার পর আমাদের লক্ষ্যই ছিল মানুষের মুখে খাবার যোগানো। তাদের বাসস্থানসহ শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় দফায় দেশ পরিচালনায় এসে আমরা এখন অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলার মত অবস্থান করে নিতে পেরেছে। ১৬ কোটি মানুষের আর্থ-সমামাজিক উন্নয়নই হচ্ছে আমাদের অগ্রাধিকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চিত্তবিনোদনের সুযোগটা খুব সীমিত। সেই সিমিত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আজকে এই এ্যাম্ফিথিয়েটার এবং ফাউন্টেইনটা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ, এটা বাঙালির । আমরা এই অঞ্চলে বাংলা নববর্ষটা উদযাপন করি। এটা মূলত ব্যবসা-বাণিজ্যে আমাদের অতীতের পণ্য বিনিময় থেকেই এই নববর্ষের শুরু। পুরনো সব হিসাব শেষ করে নতুন হিসেব লিখে রাখা হত হালখাতায়। এর সঙ্গে আর অন্য কিছু মিলিয়ে ফেললে হবে না। এরসঙ্গে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই । সম্পর্কটা সংস্কৃতির।
প্রধানমন্ত্রী এই এ্যাম্ফিথিয়েটার এবং ফাউন্টেইনকে জাতির জন্য সমগ্র ঢাকাবাসীর জন্য নববর্ষের শুভেচ্ছা বলে উল্লেখ করে বলেন, এটিসহ সকল স্থাপনার সৌন্দর্য রক্ষাও আমাদের দায়িত্ব। এসব স্থাপনার যত্রযত্র এটা ওটা ছুঁড়ে না ফেলার আহবান জানিয়ে বলেন, এসব স্থাপনা জাতীয় সম্পদ এগুলো রক্ষা এবং রক্ষণাবেক্ষণ আমাদেরই দায়িত্ব।

এ্যাম্ফিথিয়েটারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ্যাম্ফিথিয়েটার নির্মাণ কৌশল দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে এটি দেখতে পাপড়িসহ ফুলের মতো হবে, বৃত্তাকার কাঠামো এবং ডিজাইন কালারফুল হবে।
পাশাপাশি ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের বর্ণিল ফোয়ারা নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এই কাঠামো এমন পরিবেশ তৈরি করবে যে দর্শকদের মনে হবে মঞ্চটি পানির ওপর ভাসছে।
বর্ণিল ঝরনায় সময়-নিয়ন্ত্রিত সাউন্ড ওয়েভ এবং মিউজিক্যাল ট্রাক একটি ত্রিমাত্রিক কাঠামো তৈরি করেছে।
হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে সোনারগাঁও হোটেলের দক্ষিণ অংশে বেগুনবাড়ি খাল থেকে এবং এর মধ্যভাগ টঙ্গি ডাইভারশন মোড় হয়ে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত।
প্রকল্প এলাকা বর্তমান ২৪৪ দশমিক ৭৪ একর থেকে বাড়িয়ে ৩১১ দশমিক ৭৯ একর করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার সার্ভিস রোড এবং প্রায় ৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
পাশাপাশি হাতিরঝিলে দুটি ওয়াটার ট্যাক্সি টার্মিনাল এবং ৪টি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে।
প্রকল্পের অধীনে ৪টি সেতু, তিনটি ভায়াডাক্ট, ৪টি ওভারপাস ৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার ফুটপাত, ৯ দশমিক ৮০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, একটি শিশু পার্ক ১৩টি ভিউয়িং ডেক নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি হাতিরঝিল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post