ইসরাইলি সেনারা চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে ধরে নিয়ে গেছে। ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠন ‘প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনার্স ক্লাব’ এ তথ্য প্রকাশ করে বলেছে, ফিলিস্তিনি শিশুদের আটকের পাশাপাশি তাদেরকে মারধর ও তাদের ওপর নির্যাতন চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
বুধবার ফিলিস্তিনি শিশু দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংগঠনটি বলেছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনের সর্বত্র শিশুরা ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বরতার শিকার হচ্ছে। ইউনিসেফসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনকে ফিলিস্তিনি শিশু নির্যাতনের দিকে আরো বেশী মনযোগী হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনার্স ক্লাব।
এ ছাড়া, ফিলিস্তিনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালও ফিলিস্তিনি শিশুদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এটি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৪৬ ভাগই শিশু। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, শিশুদের ওপর ইসরাইলের আক্রোশ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, তারা জাতির ভবিষ্যত ফিলিস্তিনি শিশুদের বিরুদ্ধে ‘প্রকৃত যুদ্ধ’ শুরু করেছে।
ফিলিস্তিনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনি শিশুদের বিরুদ্ধে দশকের পর দশক ধরে নিরবচ্ছিন্ন অপরাধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইসরাইলকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।
ইসরাইলি কারাগারগুলোতে বর্তমানে অন্তত ৭,০০০ ফিলিস্তিনি আটক রয়েছেন যাদের মধ্যে শত শত শিশু রয়েছে। কথিত প্রশাসনিক আটকাদেশের অধীনে বন্দি করে রাখা হয়েছে হাজার হাজার বন্দিকে। ইসরাইলের প্রশাসনিক আটকাদেশ দিয়ে বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফিলিস্তিনি মুসলমানদের আটক রাখা যায়। ইসরাইলি কারাগারে বর্তমানে বন্দি থাকা অনেক ফিলিস্তিনি এই আটকাদেশের আওতায় গত ১১ বছর ধরে বন্দি রয়েছে।#