Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বাবরি মসজিদ ভাঙায় আদভানিদের বিচার হবে-- সুপ্রিম কোর্ট





বাবরি মসজিদ ভাঙায় আদভানিদের বিচার হবে
বাবরি মসজিদ ভাঙায় আদভানিদের বিচার হবে
ভারতের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটি ক্ষমতাসীন বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বিচার চলবে বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

 অভিযুক্তদের মধ্যে বিজেপি নেতাদের মধ্যে লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরালি মনোহর জোশী, উমা ভারতী ও বিনয় কাটিয়ার রয়েছেন।অন্য আসামিরা হলেন বিষ্ণুহরি ডালমিয়া, সতীশ প্রধান, সিআর বনশাল, সাধ্বী রীতম্ভরা, আরভি বেদান্তি, জগদীশ মুনি মহারাজ, বিএল শর্মা, নিত্যগোপাল দাস, ধর্ম দাস ও সতীশ নাগার।

অভিযুক্তদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহও রয়েছেন। তবে তিনি এখন রাজস্থানের রাজ্যপালের দায়িত্বে থাকায় এখনই তার বিচার হচ্ছে না।

এছাড়া শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরে ও বিশ্বহিন্দু পরিষদের আচার্য গিরিরাজ কিশোরসহ ছয় আসামি মারা গেছেন।

মঙ্গলবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় দেয়।

রায়ে বলা হয়, ১৯৯২ সালে ষোড়শ শতাব্দীর বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার চলবে।

আদালত জানান, ষড়যন্ত্র মামলা বিচার চলবে উত্তরাঞ্চলীয় লক্ষ্ণৌ শহরে। বিচারের কাজ দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন করারও নির্দেশ দেয় আদালত।

২৫ বছর আগে বাবরি মসজিদে হামলা চালিয়েছিল হিন্দু করসেবকরা। তারা ঐতিহাসিক মসজিদটির একাংশ গুড়িয়ে দেয়।

আদভানিসহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা এই হামলায় উস্কানি দিয়েছেন এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন অভিযোগপত্রে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই।

কিন্তু নিম্ন আদালত অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারাটি বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করেছিল। এ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করে সিবিআই।

সংস্থাটির দাবি, বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া কোনও দুর্ঘটনা নয়; বরং গোপন বৈঠক করে এ মসজিদটি ভাঙার পরিকল্পনা করা হয়।

এ দাবির প্রমাণ হিসেবে একটি গোপন বৈঠকের কথাও সিবিআইয়ের আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা চলবে।

উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদে হামলা চালানোর ঘটনায় ভারত জুড়ে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে দাঙা ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত দুই হাজার মানুষ নিহত হন, যার বেশিরভাগই ছিলেন সংখ্যালঘু মুসলমান।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post