মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন।
সিলেটে সাবেক ব্র্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন।
তিনি জানান, সকাল সাতটার দিকে কারাগারে আসেন তারা। সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত মুফতি হান্নানের সঙ্গে তারা কথা বলেন।
মুফতি আবদুল হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের সঙ্গে শেষ দেখা করার জন্য তাদের পরিবারকে মঙ্গলবার বার্তা পাঠানো হয়। একই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনের সঙ্গে মঙ্গলবার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেছেন তার মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা। এ তিন জঙ্গির প্রাণভিক্ষার
আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করার পর এ-সংক্রান্ত চিঠি এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কারাগারে পৌঁছেছে।
কারা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, মুফতি হান্নান ও বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি নির্বাহী আদেশও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে।
কারা সূত্র জানায়, এ দুই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরে কারা কর্তৃপক্ষের সব প্রস্তুতি রয়েছে। একজন জেলার ও দু'জন ডেপুটি জেলারের তত্ত্বাবধানে সাতজন জল্লাদ ফাঁসির মহড়াও শেষ করেছেন। সাত জল্লাদের মধ্যে মো. শাহজাহানও থাকবেন। মুফতি হান্নানের উচ্চতা ও ওজনের সমপরিমাণ ওজনের বস্তায় রশি বেঁধে ফাঁসির লিভার টেনে মহড়া হয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজারের প্রধান ফটকে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত এবং আনোয়ার চৌধুরীসহ ৭০ জন আহত হন। এ ঘটনায় করা মামলায় মুফতি আবদুল হান্নান, তার দুই সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। ওই রায় সর্বোচ্চ আদালতেও বহাল থাকে।