ভারতের বিজেপি শাসিত ঝাড়খন্ডের গুমলায় এক হিন্দু তরুণীর সঙ্গে প্রেমের অভিযোগে মুহাম্মদ শাকিল (২০) নামে এক মুসলিম তরুণকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার বাড়ি গুমলা শহরের রাজা কলোনিতে। ওই ঘটনায় তরুণীর পরিবারের হাত থাকার অভিযোগে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার এ নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশকে ফ্ল্যাগ মার্চ করতে হয়। ক্ষুব্ধ জনতা রাঁচি-ছত্তিশগড় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
ময়না তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে প্রকাশ, শাকিলকে নির্মমভাবে পেটানো হলে তার একটি পা এবং হাত ভেঙে যায়। তার গুপ্তাঙ্গসহ, মাথা, পিঠ, পা, হাত এবং শরীরের অন্য অংশ গুরুতর আঘাত লাগে। একটি সূত্রে প্রকাশ, ওই মুসলিম তরুণকে গাছে বেঁধে পেটানো হয়।
ওই ঘটনার পরে নিহতের বাবা মিনহাজ তার ছেলের প্রেমিকা ও তার মা মালতি দেবীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন। এফআইআর দায়ের করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনাকে ‘প্রেমঘটিত’ বলে মন্তব্য করেছে।
মিনহাজ বলেছেন, তার ছেলে বুধবার রাতে ঘর থেকে মোটর বাইক নিয়ে বের হয়। রাত সাড়ে ৯ টায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ ছিল। ওইদিন রামনবমীর মিছিল ছিল থাকায় তাকে খুঁজতে বেরোনো যায়নি। পরে রাত ১২ টা নাগাদ দুই যুবক তার বাসায় খবর দেয় শাকিলকে ওই তরুণীর বাসায় বেঁধে পেটানো হচ্ছে। পরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সকলে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শাকিলকে আধমরা অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাঁচিতে স্থানন্তরিত করা হলে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায় শাকিল।
পুলিশ ওই তরুণীর মা মালতি দেবী, রাহুল জয়সওয়াল এবং শাকিলের বন্ধু শাহজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। গুমলার পুলিশ সুপার চন্দন ঝাঁ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ওই ঘটনায় জড়িত কিছু ব্যক্তির নাম সামনে এসেছে। তল্লাশি চালিয়ে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দাবি, শিগগিরি অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।#