কোলকাতা-খুলনার মধ্যে পরীক্ষামূলক যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল নিয়ে সীমান্তে উচ্ছ্বাস
বাংলাদেশের খুলনা এবং পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতার মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশের পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশের বেনাপোল স্টেশন থেকে সুসজ্জিত ট্রেনটি ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করতেই রেল লাইন ও পেট্রাপোল স্টেশনে স্থানীয় মানুষজন ফুলের পাপড়ি ছুঁড়ে দিয়ে যাত্রীদের স্বাগত জানান।
পেট্রাপোল স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখার ডিআরএম বাসুদেব পন্ডা-সহ রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। বাসুদেব বাবু বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে কোলকাতা-খুলনা ট্রেনের শুভসূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খুলনা থেকে ট্রেনটি আমাদের পেট্রাপোল স্টেশনে এসেছে এবং তা কোলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বহুদিনের পুরোনো এবং গভীর সেই হিসেবে আজ একটা ঐতিহাসিক দিন। ভারতের ফার্স্ট লেডিও বাংলাদেশের ছিলেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। এরফলে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ সুসম্পর্ক আরো বাড়বে বলে তিনি বলেন। ট্রেনটি আগামী জুলাই থেকে নিয়মিত চলবে বলেও বাসুদেব পন্ডা জানান।
পেট্রাপোল স্টেশন দিয়ে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াত করে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ট্রেনের সূচনা করেছিলেন। অন্যদিকে, শনিবার বেনাপোলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এই রুটে ট্রেন সার্ভিস চালু ছিল। ৪৩ বছর পরে আবার চালু হলো কলকাতা-খুলনার মধ্যে ট্রেনের এই সেবা।
যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, এই ট্রেনে বেনাপোল হয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টায় নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দে রোগী, পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা কোলকাতায় যেতে পারেবেন।’ এতে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।#