সুমন/রিপন/খোকন//
জল্পনা-কল্পনা এখন তুঙ্গে কে জিতবে মেহেরপুর পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৯ জন প্রার্থী।
আগামী ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে।
মেহেরপুর শহরের কাঁসারীপাড়া, মল্লিাকপাড়া, শহীদ আরজ সড়ক উত্তর, হোটেল বাজার পাড়ার একাংশ, মহিলা কলেজ সড়ক, দিঘিরপাড়া, প্রান্তিক সিনেমা হল পাড়া, ফৌজদারীপাড়ার দক্ষিণ অংশ, নজরুল সড়কের উত্তর অংশ, শহীদ হামিদ সড়ক, সিভিল সার্জন অফিস পাড়া, সরকারী কলেজপাড়ার একাংশ, শহীদ হামিদ সড়কের ৪ হাজার ৫শ ৬৩জন ভোটার নিয়ে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড।
নুরুল আশরাফ রাজিব (উটপাখি)
মেহেরপুর পৌরসভা শহরের মল্লিক পাড়ার আশাবুল হকের ২ সন্তানের বড় সন্তান রাজিব এবারের নির্বাচনে উটপাখি প্রতীক নিয়ে প্রথম বারেরমত নির্বাচনে লড়ছেন। ১ সন্তানের জনক রাজিব এবার প্রথমবার নির্বাচন করলেও এলাকাতে বেশ সাড়া তুলে ফেলেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য বেশ আগে থেকে তার নির্বাচনী এলাকায়ে গণসংযোগসহ এলাকাবাসীর সুখে দুখে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। সফটর ইঞ্জিনিয়ারিং লেখা পড়া শেষ করে তিনি নিজের ব্যবসা দেখাশোনা করেন। এলাকাতে যথেষ্ট গ্রহন যোগ্যতা রয়েছে বলে তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে এলাকার লোকজনের মতামত নিয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচানা করবো। তিনি মনে করেন, তার সাথে সেলিম খানের প্রতিদ্বন্দীতা হতে পারে।
ইলিয়াস হোসেন (গাজর)
মেহেরপুর পৌরসভা:মল্লিকপাড়ার কাবাতুল্লাহর ১১ সন্তানের মধ্যে ৭ম সন্তান ইলিয়াস হোসেন ১টি কন্যা সন্তানের জনক। এবারের নির্বাচনে ঢেড়শ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। বিএ পাশ করার পর ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। একজন ফুটবলার হিসেবে এলাকার অধিক পরিচিত ইলিয়াস হোসেন তার বড় বংশীয় ভোটের পাশাপাশি সু-সর্ম্পকের কারনে নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদি। বিগত ৬ বছর এলাকার কোন উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচিত হলে কমিটি গঠন করে এলাকার উন্নয়ন সাধিত করবেন। ইলিয়াস হোসেনের মতে রাজিব এবং সেলিম খানের সাথে তার ভোটযুদ্ধ হবে।
বর্তমান কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম (ঢেড়শ)
মেহেরপুর পৌরসভা মেহেরপুর মহিলা কলেজ পাড়ার আব্দুর রশিদ বিশ্বাসের ৬ সন্তানের মধ্যে ৩য় সন্তান মনিরুল ইসলাম ২ সন্তানের জনক। বর্তমান কাউন্সিলর হিসেবে তিনি দায়িত্বে রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে ঢেড়শ প্রতীকে ভোট করছেন। পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এইচএসসি পাশ করা মনিরুল ইসলাম ৬ বছর এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তেমন কোন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পারেননি। এ বিষয়ে তিনি বলেনগত পৌর নির্বাচনের পর পরই দুইজন পৌর কাউন্সিলর মাডার হন। তার পর থে পৌর মেয়র পরিষদে দাঁড়াতে পারেননি। সে কারনে উন্নয়ন কাঝে বিগ্ন হয়েছে। তবে জয়ী হলে আর পিছে ফিওে তাকাবেন না বলে জানান। মনিরুল ইসলাম কোন প্রর্থীকেই খাটো কওে দেখছেন না।
ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সেলিম খান (পানির বোতল)
মেহেরপুর পৌরসভা শহরের মল্লিক পাড়ার গোলাম এলাহী খানের ৯ সন্তানের মধ্যে ৪র্থ সেলিম খান ১টি কন্যা সন্তানের জনক। এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মত পানির বোতল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। বিকম পাশ করে নিজের ব্যবসা দেখাশোনা কনে তিনি। গত নির্বাচনে অংশ নিয়ে ২য় স্থান অধিকার করেলেও এবারের নির্বাচনে তিনি হাল ছাড়েননি। এই নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে ষতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বর্তমান কাউন্সিলর সম্পর্কে বিষদগার করেন। নির্বাচনে জয়লাভ করলে নিজের পক্ষে থেকে কোন কিছু করার ঘোষনা না দিলেও সরকারী অনুদান নিয়ে এলাকার সেবা করার কথা বলেন। কোন প্রার্থীকেই তিনি খাটো কওে দেখছেন না।
নাহিদ হাসান খান রনি (টেবিল ল্যাম্প)
মেহেরপুর পৌরসভা প্রন্তিক সিনেমা হল পাড়ার মুর মোহাম্মদ খানের ৩ সন্তানের মধ্যে বড় নাহিদ হাসান খান রনি ১টি কন্যা সন্তানের জনক। টেলিকমিনেকেশনে ডিপ্লোমা পাশ করা রনি ব্যবসা করে সময় পার করারর পাশাপাশি সময় পেলে জনকন্যান মূলক কাজের সাথে যুক্ত হন। এবারের নির্বাচনে তিনি টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। নির্বাচিত হলে তিনি এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তা, লাইটসহ সেবা মূলক কর্মকন্ড করবেন বলে জানান। সেলিম খানের সাথে তার লাড়াই হবে বলে জানান।
এসএম ফিরোজুর রহমান (পাঞ্জাবি)
মেহেরপুর পৌরসভা মল্লিক পাড়ার আমান উল্লাহর একমাত্র সন্তান ফিরোজ এবার দ্বিতীয় বারেরমত পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। মাষ্টার্স পাশ করার পর নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত করার পাশাপাশি এলাকবাসীর সাথে সু০সম্পর্ক রেখে চলেছেন। ছাত্রলদের একজন সক্রিয় নেতা ফিরোজুর রহমান বর্তমান কাউন্সিরেরপ্রতি বিষাদগার করে বলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে এলাকাবাসীর কল্যানে কাজ করে যবো। সেলিম খানের সাথে তার ভোট যুদ্ধ হবে বলে জানান।
হাবিবুর রহমান সোনা (ব্রিজ)
মেহেরপুর পৌরসভা মল্লিক পাড়ার চাঁদ আলীর ১১ সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ট হাবিবুর রহমান সোনা ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপাড়া করেছেন। এরপর ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ৭ ন¤^র ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠানিক সম্পদকের দায়িত্বে থাকা সোনা এবারের নির্বাচনে ব্রিজ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি। তিনি বলেন নির্বাচিত হলে, অনান্য সেবার পাশাপাশি তিনি এলাকাবাসীর জন্য ফ্রি-চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। সোনা মনে করেন রাজিবের সাথে তার ভোট যুদ্ধ হবে।
আরিফ খান (ডালিম)
মেহেরপুর পৌরসভা শহরের দিঘির পাড়ার শাহানেওয়াজ খানের ২ পুত্র ১০ কন্যার মধ্যে ৭ম সন্তান আরিফ হোসেন দ্বিতীয় বারের মত এবার ডালিম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। গত নির্বাচনে তৃতীয় স্থান লাভ করা আরিফ হোসেন এবার জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদি। ১ কন্যা সন্তানের জনক আরিফ হোসেন বলেন, নির্বাচিত হলে দুখি মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। সেলিম খানের সাথে তার ভোট যুদ্ধ হবে বলে জানান।
দুখু মিয়া (ব্লাক বোর্ড)
মেহেরপুর পৌরসভাআমি ধনী মানুষের বন্ধু ধনীদের পাশে আছি, ধনীদের পাশে থাকব। প্রিয় পাঠক শ্লোগানটি অনেক পরিচিত মনে হচ্ছে। তারপরও বলি শ্লোগানটি শহরের মল্লিক পাড়ার দুখু মিয়ার। পেশায় তিনি একজন রং মিস্ত্রি। সেহেতু ধনীরা পাকা ঘরে বসবাস করেন। আর দুখু মিয়া তাদের ঘরে রং করার কাজ করেন। গরীবের ঘরে কাজ করা হয়না। তাই এবারের নির্বাচনে প্রথম তফশীল ঘোষনা হওয়ার পর পরই দুখু মিয়ার ছবি সম্বলিত একটি বিলবোর্ড পথচারীদের দৃষ্টি কাড়েন। আমি দুখু মিয়া ধনীদের পাশে আছি, পাশে থাকব। তবে দুখু মিয়ার সেই শ্লোগান এখন পরিবর্তন করে গরীব দুখি মানুষের কাছে থাকার অঙ্গিকার করে মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদি দুখু মিয়া মনে করেন সেলিমের সাথে তার ভোট যুদ্ধ হবে।