তিন দিনের ভুটান সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দ্রুক এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। খবর বাসসের
এর আগে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিষ্ণু রায় চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
সফরকালে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক ও দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রয়্যাল ব্যাংকুয়েট হলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে এ চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়।
শেখ হাসিনা থিম্পুতে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় ভুটানের রাজা জিগমে খেসার ন্যামগেল ওয়াংচুক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক, সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল ছিলেন।
‘ধারণার চেয়ে অনেক বেশি পরমাণু বোমা রয়েছে উ. কোরিয়ার’
উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে আগে যে ধারণা করা হতো তার চেয়ে অনেক বেশি পরমাণু বোমা দেশটির অস্ত্রভাণ্ডারে আছে। দেশটিতে অন্তত ৩০টি পরমাণু বোমা রয়েছে। এ ছাড়া, তিন বছরে এ সংখ্যা দ্বিগুণ করার মতো বোমা তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানও দেশটির কাছে আছে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি এসব তথ্য দিয়েছে।
আর এতে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বোমার সংখ্যা নিয়ে আগে যে ধারণা করা হতো তা পুরোপুরি বদলে গেছে। দেশটি নতুন পরমাণু শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছে। এ ছাড়া, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পরমাণু বোমা দিয়ে হামলার সক্ষমতা এখনই দেশটির আছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
১৯৯৯ সাল দেয়া হিসাবে আমেরিকা মনে করতো পিয়ংইয়ং’য়ের হাতে একটি বড়জোর দু’টি পরমাণু বোমা রয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির পরমাণু বোমার সংখ্যা বেড়ে ১০টি হতে পারে বলেও সে সময় ধারণা ব্যক্ত করা হয়েছিল।
কিন্তু ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড অলব্রাইট আরো বলেন, প্লুটোনিয়াম এবং ইউরেনিয়াম উৎপাদন বাড়ানোর কারণে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বোমার সংখ্যা বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, কাগজ কলমের হিসাবের ভিত্তিতে বলা যায় যে উপগ্রহ পাঠাতে যে রকেট ব্যবহার করা হয় তা দিয়ে আমেরিকায় পরমাণু হামলা চালাতে পারবে উত্তর কোরিয়া। অবশ্য এ জাতীয় হামলার কোনো কার্যকারিতা থাকবে না বলেও ধারণা ব্যক্ত করেন তিনি।
অবশ্য তিনি বলেন, আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএমের জন্য কার্যকর পরমাণু ওয়ারহেড উত্তর কোরিয়া তৈরি করতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু নোডোং ক্ষেপণাস্ত্রে বসানোর উপযুক্ত ক্ষুদ্র পরমাণু ওয়ারহেড উত্তর কোরিয়া তৈরি করেছে বলে জানান তিনি। এ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলা চালানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।#