সুমন/রিপন/খোকন//
জল্পনা-কল্পনা এখন তুঙ্গে কে জিতবে মেহেরপুর পৌরসভা ২ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ৪ ৫ ৬ মহিলা কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী।
আগামী ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে।
মেহেরপুর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের খাঁ পাড়া উত্তর, তাঁতি পাড়া উত্তর, নতুন পাড়া, ফুল বাগানপাড়া, বেড় পাড়া, মাঠপাড়া, শেখপাড়া, হটাৎ পাড়া এবং কাঁলাচাদপুর, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রপাড়া, বিএডিসি পাড়া, হটাৎ পাড়া, ক্যাশবপাড়া, কাথুলী সড়ক, দিঘিরপাড়া, ওয়াপদা পাড়া ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যাশব পাড়া, বড় বাজার পাড়া, মহিলা কলেজ সড়ক, নজরুল সড়ক, মন্ডল পাড়া, গড়পাড়া, টাউন হল পাড়া, পুরাতন হাসপাতালপাড়ার একাংশের ১০ হাজার ২শ ৬৫ জন ভোটার নিয়ে গঠিত ২ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড।
নাজমুন নাহার রিনা (চশমা)
মেহেরপুর পৌরসভা শহরের বড় বাজার এলাকার আবু ইউসুফ মিরনের স্ত্রী নাজমুন নাহার রিনা। ৩ সন্তানের এ জননী নাজমুন নাহার রিনা পৌর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে চশমা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত অংশ গ্রহন করে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছেন। নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহন করায় তিনি নির্বাচনী এলাকায় বেশ পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদি রিনা জানান, নির্বাচনে জয়ী হলে অসহায় দুস্থ্যদের সার্বিক সহযোগিতা করা সহ মাদক ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কাজ করবো। রিনা মনে করেন, শিউলি আক্তারের সাথে তার প্রতীদ্বন্দীতা হবে।
শিউলি আক্তার (অটো রিকশা)
মেহেরপুর পৌরসভা শহরের শেখ পাড়ার খন্দকার আফসারুল হকের স্ত্রী শিউলি আক্তার এবার দ্বিতীয়বারের মত নির্বাচন করছেন। গত নির্বাচনে পলি আক্তারের সাথে প্রতিদ্বন্দীতা করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। তবে এবারের নির্বাচনে অটো রিকশা প্রতীক নিয়ে জয়লাভের ব্যাপারে বেশ আশাবাদি। ৮ম শ্রেণী পাশ করা গৃহিনী শিউলি আক্তার বলেন, গত নির্বাচনে নির্বাচিত পলি খাতুন ৬ বছরে কোন উন্নয়ন করেন নি। তিনি নির্বাচিত হলে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে পিছুপা হবেন না। তার মতে রিনার সাথে তার ভোট যুদ্ধ হবে।
শাহানারা বেগম বিউটি (আনারস)
মেহেরপুর পৌরসভা শহরের ড়িঘির পাড়ার নাসির উদ্দীনের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী শাহানারা বেগম শিউলি এবার দ্বিতীয় বারের মত আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ব্যাক্তিগত ভাবে পার্লার এবং টেইলার্স করার পাশাপাশি সমাজ সেবক হিসেবে নিজ এলাকায় পরিচিত। নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে সে আশাবাদি। তবে কার সাথে তার প্রতিদ্বন্দিতা হবে তা বরতে তিনি নারাজ। তিনি সকলের কাছে দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন।
পলি খাতুন (বলপেন)
মেহেরপুর পৌরসভা শহরের শেখ পাড়ায় সামসুল হকের স্ত্রী ১ কন্যা সন্তানের জননী পলি খাতুন গত নির্বাচনে প্রথমবারের মত অংশ নিয়ে সকলকে চমকে দিয়ে জয়ের মুকুট পরেন। তবে তিনি নির্বাচনে জয়ের পর যতোটা আলোচিত হয়েছিলেন তার চেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন এই ৬ বছরে। কারন নির্বাচনের পর এলাকায় একবারে জন বিচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। কোন উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেকে সংযুক্ত করতে পারেননি। তারপরও বলপেন প্রতীক নিয়ে তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি মনে করেন রিনার সাথে তার ভোট যুদ্ধ হবে।
কাঞ্চন মালা (আংটি)
মেহেরপুর পৌরসভা শহরের কালাচাঁদপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী কাঞ্চন মালা এবার এলাকাবাসীর অনুরোধে ১ম বারের মত আংটি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। অষ্টম শ্রেণী পাশ করা গৃহিনী কাঞ্চন ২টি কন্যা সন্তানের জননী। নিজের ইচ্ছা না থাকলেও এলাকাবাসীর কারনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বলে জানান। তিনি মনে করেন শিউলি ও রিনার সাথে তার ভোটযুদ্ধ হবে।
খাদিজা বেগম (জবা ফুল)
মেহেরপুর পৌরসভা শহরের মাঠ পাড়ার সুরমান হোসেনের মেয়ে খদিজা ৩ সন্তানের জননী খাদিজা বেগম এলাকার মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্রত নিয়ে জবাফুল প্রতীক নিয়ে এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তার সাথে রিনার সাথে তার ভোট যুদ্ধ হবে বলে তার ধারনা।