মাশরাফি এখনো টি-টোয়েন্টি ছাড়েননি; শুধু অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন -- নাজমুল
সব কিছুরই শেষ আছে। একটা সময় মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও থামতে হতো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি থেকে 'হুট' করেই তার বিদায় ঘোষণায় বিস্ময় তৈরি হলেও এটাকে মেনে নিতেই হবে। তবে একেবারেই স্বপ্রণোদিতভাবে যে অবসরের সিদ্ধান্ত নেননি সেটি বুঝতে বোদ্ধা হওয়ার দরকার নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে অনেকেই মাশরাফির বিদায় ঘোষণার পেছনে খলনায়কের ভূমিকায় দেখছেন। শুক্রবার শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। এসময় নতুন করে বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছেন পাপন। তার মতে, মাশরাফি এখনো টি-টোয়েন্টি ছাড়েননি; শুধু অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে দারুণ সময় পার করেছে বাংলাদেশ। টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমান ১-১ এ ড্র করে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটকে বিদায় জানান মাশরাফি বিন মুর্তজা। বৃহস্পতিবার তার বিদায়ী ম্যাচে বাংলাদেশ ৪৫ রানের বড় জয় পায়। ফলে সতীর্থদের কাছ থেকে রঙিন বিদায়ই উপহার পান ম্যাশ।
দেশে ফিরে শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে চমক জাগানো কথাই বললেন পাপন। মাশরাফি টি-টোয়েন্টি ছাড়েননি দাবি করে তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে তাকে দলে ডাকা হবে। বিসিবি প্রধান বলেন, 'একটা কথা বারবার বলছি- মাশরাফি কিন্তু টি-টোয়েন্টি ছাড়েনি। আমরা এখনো বলিনি মাশরাফি স্কোয়াডে নেই। ও শুধু অধিনায়কত্ব ছেড়েছে।'
মূল তিন সংস্করণে ভিন্ন তিন অধিনায়কেও থিওরির কারণেই হুট করেই টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানিয়েছেন মাশরাফি। পাপন জানিয়েছেন, দরকার পড়লে ম্যাশকে টি-টোয়েন্টি দলে নেয়া হবে। যেমনটা বলছিলেন তিনি, 'তিন সংস্করণে আমাদের তিন অধিনায়ক হবে-আমি প্রথম থেকেই বলছি। ও নিজেকে ফিট মনে করলে অবশ্যই (টি-টোয়েন্টি দলে) থাকবে। আমাদের দরকার হলে আমরা কি তাকে ছেড়ে দেব? অধিনায়কত্ব শুধু ভাগ হয়েছে। মুশফিক তিন সংস্করণেই অধিনায়ক ছিল। ওর দুটির অধিনায়কত্ব চলে গেছে বলে কি মুশফিক বিদায় নিয়েছে?'
ইনিয়ে-বিনিয়ে পাপন যা-ই বলুন না কেন- মাশরাফির হুট করে অবসরের পেছনে তিনিই কলকাঠি নেড়েছেন বলেই টাইগারভক্তদের বিশ্বাস। আর একবার যেহেতু বিদায় বলেই ফেলেছেন, তাই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফিকে দেখার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে দেখা যাবে নড়াইল এক্সপ্রেসকে।