কলকাতা থেকে খুলনা দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস আজ, উদ্বোধন
কলকাতা থেকে খুলনা। প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার পথ। চালু হচ্ছে যাত্রিবাহী ট্রেন। পেট্রাপোল স্টেশন সেজেগুজে তৈরি। পরীক্ষামূলকভাবে শুক্রবার পেট্রাপোল এল ৮ কামরার দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস। আজ, শনিবার উদ্বোধন। তবে এই ট্রেন যাত্রী নিয়ে ওপার বাংলায় যাওয়া শুরু করবে জুন থেকে। প্রাথমিকভাবে শনি ও রবিবার দুটি ট্রেন দু’দেশে যাতায়াত করবে।
১৯৬৫ সালে শেষবারের মতো এই পথ দিয়ে দু–দেশের মধ্যে যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল করেছিল। তারপর থেকে এই পথে ট্রেন চলাচল ছিল বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তঁার উদ্যোগে এই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। নদীয়ার গেদে এবং বাংলাদেশের দর্শনা সীমান্ত দিয়ে কলকাতা থেকে ঢাকার মধ্যে চলে যাত্রিবাহী ট্রেন ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’। পণ্যবাহী ট্রেনের সাফল্য আসায় ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীদের দাবি মেনে পেট্রাপোল–বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে কলকাতা–খুলনার মধ্যে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদেশের রেল মন্ত্রক।
শনিবার দিল্লি থেকে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রেল মন্ত্রকের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রার সূচনা হবে। পেট্রাপোল এবং কলকাতা স্টেশনে হবে দুটি আলাদা অনুষ্ঠান। এদিন ভারতীয় সময় বেলা ১২টা নাগাদ বাংলাদেশের বেনাপোল স্টেশন থেকে দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেসটি ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। ৮ কামরার এই ট্রেনটি আনতে বেনাপোল স্টেশনে থাকবে ভারতীয় রেলের ইঞ্জিন। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ট্রেনটি পেট্রাপোল স্টেশনে পৌঁছবে। সেখানে আয়োজিত রেলের অনুষ্ঠানে শিয়ালদা ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার বাসুদেব পন্ডা–সহ দু’দেশের রেলের আধিকারিকেরা উপস্থিত থাকবেন। ঘণ্টাখানেকের অনুষ্ঠানের পর পেট্রাপোল স্টেশন থেকে ট্রেনটি বনগাঁ, বারাসত, দমদম হয়ে পৌঁছবে কলকাতা স্টেশনে।