আমেরিকার সিরিয়া আক্রমণ ঘিরে দু'ভাগ দুনিয়া
যুদ্ধের ঝুঁকিটা নিয়েই ফেললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে আছড়ে পড়লো মার্কিন মিসাইল। ভূমধ্যসাগরে দুটি মার্কিন রণতরী থেকে প্রায় ৫০টি ক্ষেপনাস্ত্র ছোড়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাফাই, ইদলিবে গ্যাস হামলার জেরেই এই নির্দেশ। মানতে নারাজ রাশিয়া। মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে চিন এবং ইরান। জরুরি বৈঠক রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের।
একদিকে বিদ্রোহী বনাম সেনার যুদ্ধ। অন্যদিকে ইসলামিক স্টেটের উত্থান। টানা ছ বছরের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া। আন্তর্জাতিক মহলের মাথাব্যাথার কারণ। কিন্তু তবুও সরাসরি সিরিয়ায় হামলার ঝুঁকি নিতে চায়নি আমেরিকা। কিন্তু ট্রাম্প জমানায় রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদল।
আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক মারণাস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু ইদলিবের গ্যাস হামলার ঘটনায় টলিয়ে দেয় গোটা বিশ্বকে। আর দেরি করেননি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইদলিব কাণ্ডের আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে এল হোয়াইট হাউসের নির্দেশ। অ্যাটাক!
ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন মার্কিন ডেস্ট্রয়ার USS PORTER এবং USS ROSS থেকে ধেয়ে যায় একের পর এক টমাহক মিসাইল। ক্ষেপনাস্ত্রের নিশানায় ছিল সিরিয়ার হোমসের শায়রাত বিমানঘাঁটি। অভিযোগ, এই বিমানঘাঁটি থেকেই মারণ গ্যাস নিয়ে ইদলিবে হামলা করেছিল সিরিয়ার যুদ্ধবিমান।
সিরিয়ায় হামলার ঘটনায় ব্রিটেন, ইজরায়েল এবং সৌদি আরবকে পাশে পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে মার্কিন সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের পাশে থেকে সুর চড়িয়েছে চিন এবং ইরান।
ক্ষেপনাস্ত্র হামলার জেরে এখন দুভাগ দুনিয়া। আরও বড় হামলার ঝুঁকি কী নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? ইরাকের পর কী এবার সিরিয়া?