অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ রোধের প্রস্তাব গ্রহণ করা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা হবে : স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার, সিপিএ নির্বাহী কমিটি’র চেয়ারপার্সন ও ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনের সভাপতি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আইপিইউ সম্মেলনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ ও স্বাধীন কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে প্রস্তাবনা গৃহীত হওয়ায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
স্পিকার বলেন, আইপিইউ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করতে পেরে বাংলাদেশ সত্যিই গর্বিত। ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনের বড় প্রাপ্তি হচ্ছে এ ধরনের আন্তর্জাতিক মানের এসেম্বলি আয়োজন করার সামর্থ্য যে বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্ব পরিমন্ডলে তা অবগত করা।
তিনি বলেন, ঢাকা ঘোষণায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৈষম্য কমানো, মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনি কাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করার মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যা আইপিইউ এর কার্যক্রমকে সকল দেশের মানুষের কল্যাণে আরো গতিশীল করবে।
স্পিকার বলেন, আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশ কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আইপিইউ সম্মেলন আয়োজনের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আরো সফলভাবে সিপিএ সম্মেলন আয়োজনে সক্ষম হবে।¬¬¬
আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলি’র সফল আয়োজনের জন্য স্পিকার ও ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলির সভাপতি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যোগাযোগ আরো বৃদ্ধি পাবে।
এ দিকে পার্লামেন্টস ফর নিউক্লিয়ার নন-প্রোলিফারেশন এন্ড ডিসআর্মামেন্ট (পিএনএনডি) এর একটি প্রতিনিধি দল আজ স্পিকারের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা পারমানবিক অস্ত্র বিস্তার নিরোধ এবং নিরস্ত্রীকরনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাৎকালে পিএনএনডি’র প্রতিনিধি দলের প্রধান মনি শংকর আয়ার বলেন, পারমানবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব বিনির্মাণে সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে। এজন্য তিনি বিশ্বের সকল দেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ অস্ত্র প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস করে না, জনগনের কল্যাণে বিশ্বাস করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য অন্যতম পূর্বশর্ত বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গীকার অর্থনৈতিক ভিতকে শক্তিশালী করতে পারে। বাংলাদেশ সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিবাচক কর্মসূচীসহ বিশ্বের সকল দেশের সংসদসমূহ সোচ্চার হলে শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব। আর তখনই পারমানবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচী সফল হবে। প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে বৃটেন, জাপান, ভুটান ও নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক, হুইপ ইকবালুর রহিম, সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল, ডা. দীপু মনি, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাবিনা আক্তার তুহিন, মাহজাবিন খালেদ, কাজী নাবিল আহমেদ, ওয়াসিকা আয়েশা খান, মো. ফখরুল ইমাম এবং মাহজাবিন মোর্শেদ অংশগ্রহণ করেন।