Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » আমলকী লিভার ভালও রাখতে সহায়তা করে,





ফেলনা ভেবে দূরে ঠেলে দেয়া আমলকী আসলে কেন খাবেন?
 

আমলকীকে আমরা কে না চিনি? একটু মিষ্টি, একটু পানসে আর অনেকটা টক টক স্বাদের এই ফল মেয়েদের কাছে খুব জনপ্রিয় এদেশে। আর সাথে বাড়তি পাওনা আছে নানান রকম ভেষজ গুণ। আমলকী বা ‘আমলকি’ একপ্রকার ভেষজ ফল। সংস্কৃত ভাষায় এর নাম আমালিকা। ইংরেজি নাম ‘aamla’ বা Indian gooseberry। আমলকি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Phyllanthus emblica বা Emblica officinalis.

ভিটামিন সি’সমৃদ্ধ আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে এ্যান্টি অক্সিদেনট রয়েছে, যা ফ্রি র‍্যাডিকেলস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র‍্যাডিকালস। আমলকী আপনাকে সহায়তা করে তারুণ্য ধরে রাখতে।অনেকে ভেবে থাকেন, আমলকী কেন খাবো? কি আছে আমলকীতে? আসুন তবে জেনে নেই

১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।

২।বমি, কফ, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।

৩। আমলকী ত্বক, চুল ও চোখ ভাল রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৪। শুকনো আমলকী চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।

৫। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার খেতে পারেন। হজমে সাহায্য করবে।

৬। আমলকী অরুচি দূর করতে, বমি ভাব কমাতে খুব কাজে লাগে। এছাড়াও তাজা আমলকী চিবিয়ে খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়।


৭। আমলকী দিয়ে মোরব্বাও তৈরি করা যায়। এটি পায়খানা পরিষ্কার করে।

৮। আমলকী লিভার ভালও রাখতে সহায়তা করে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে ফলে মানসিক ফাংশন ভালো হয়।

৯। আমলকী রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

১০। হার্ট সুস্থ রাখে ও ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে।

১১। শরীর ঠান্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, মাংস পেশী মজবুত করে।

১২। লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভালো রাখে।

১৩। জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।

১৪। আমলকীর রস দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।

১৫। পেটের জ্বালা জ্বালাভাব কম রাখে। পাইলস সমস্যা কমায়।

১৬। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।

১৭। আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে থেকে পারেন। খিদে বাড়াতে সাহায্য করে।

১৮। এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটির সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।

১৯। আমলকী হজমে সাহায্য করে ও স্টমাক এ্যাসিডে ভারসাম্য বজার রাখে।

২০। আমলকী আয়রনে ভরপুর। আর সে জন্যই শরীরে নতুন রক্ত তৈরি করার পক্ষে উপযুক্ত।

২১। কৃত্রিম ভিটামিন ‘সি’ না খেয়ে সরাসরি টাটকা বা শুকনো আমলকী খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

২২। টাটকা আমলকীর রস সকালে উঠে খেলে শরীর পুষ্ট হয় ও শরীরের ভেতর ফুর্তি ভাব জাগায়। শরীরে ঠান্ডা প্রভাব বিস্তার করে।

২৩। কাঁচা খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। তবে শুকিয়ে এবং আচার বানিয়ে সংরক্ষণ করে খেতে পারেন।

সতর্কতাঃ কিডনি রোগীদের খেতে বাধা আছে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারবেন।
 






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post