জঙ্গিবাদ দমনে ঢাকায় ১৪ দেশের যৌথ ঘোষণা,
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসসহ আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনের অঙ্গীকার গ্রহণের মধ্য দিয়ে আজ ঢাকায় শেষ হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া ও প্রতিবেশী দেশগুলোর পুলিশ প্রধানদের তিন দিনের সম্মেলন।
১৪ দেশের পুলিশ প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে রোববার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে এ সম্মেলন শুরু হয়।
সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন এবং অন্যান্য দেশের নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি, সীমান্তে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও সহিংসতা রোধে সম্মিলিত কৌশল তৈরি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঝে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্র তৈরি করা, সন্ত্রাস মোকাবিলায় একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে সবাইকে একত্রিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন শেষে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পুলিশের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করে সহিংসতা ও সীমান্তে সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন করা হবে। এজন্য পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান বিশ্ব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই অঞ্চল ও বিশ্বের অন্যান্য সংস্থাগুলোরও এই সমস্যা মোকাবিলায় একত্রিত হওয়া প্রয়োজন।
পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ রেডিও তেহরানকে বলেন, জঙ্গিবাদ দমনের নামে বিশ্বব্যাপী ইসলামের দুশমনরা মুসলমানদের এবং মাদ্রাসাগুলোকে আক্রমণের টার্গেট বানিয়েছে। বাংলাদেশকে এমন ষড়যন্ত্র থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামের শান্তির বাণী অবলম্বন করেই সহিংসতার মোকাবেলা করতে হবে।
সম্মেলন শেষে বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, যৌথ ঘোষণায় দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল এবং বিশ্বব্যাপী অপরাধের ধরণ চিহ্নিতকরণ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে কৌশল উদ্ভাবন, ইন্টারপোল সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল সেন্টার ব্যুরোর (এনসিবি) মাধ্যমে ওয়ান-টু-ওয়ান কমিউনিকেশন ও পুলিশ প্রধানদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে একটি প্ল্যাটফরম গঠনের কথা বলা হয়েছে।
ওদিকে, সম্মেলনে অংশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিনিধি বাংলাদেশ পুলিশের দাবি অনুযায়ী একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর সই করতে রাজি হয়নি। ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলতে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা অন্য কোনো পরিচয়পত্রের তথ্য সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে পুলিশ যে অনুরোধ করেছিল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাতে রাজী হয় নি।
পুলিশের আইজি শহীদুল হক জানান, ফেসবুকে কোনো ছবি দিয়ে যে নাশকতা চালানো হয়, এমন সমস্যার কথা বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও থেকে শোনেনি ফেসবুক। এমনকি অন্য কোনো দেশ থেকে কখনো কোনো ছবির বিষয়ে আপত্তিও করা হয়নি।#