হোম গ্রোন জঙ্গিদের সঙ্গে আইএসের ভার্চ্যুয়াল ওয়ার্ল্ডে যোগাযোগ থাকতে পারে'
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক
ঢাকায় ১৪ দেশের পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, হোম গ্রোন জঙ্গিদের সঙ্গে আইএসের ভার্চ্যুয়াল ওয়ার্ল্ডে যোগাযোগ থাকতে পারে। তবে দেশীয় জঙ্গিদের আইএস-অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়া বা অন্য কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
আজ (সোমবার) সোনারগাঁ হোটেলের লবিতে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কথা বলেন।
গতকাল সম্মেলনের প্রথম দিনে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স অ্যান্ড টেররিজম রিসার্চের (আইসিপিভিটিআর) পরিচালক রোহান গুণারত্নে বলেছেন, ‘হলি আর্টিজানে যারা হামলা চালিয়েছিল, তারা জেএমবি নয়, তারা আইএস। এটি সেই সন্ত্রাসীগোষ্ঠী, যারা নিজেদের ইসলামিক স্টেট বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ওই হামলা সম্পর্কে সত্য বলেননি।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইজিপি বলেন, জঙ্গি গোষ্ঠীটির অনেকে তাঁদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। কেউ বলেননি তাঁরা আইএস। অনেকে মারা গেছেন। তাঁদের আত্মীয়স্বজনও বলেননি। সবাই জেএমবির কথাই বলেছেন।
এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘এরা কেউ বাংলাদেশ ত্যাগ করে আইএসের সঙ্গে ট্রেনিং নেয়নি। তবে ভার্চ্যুয়াল ওয়ার্ল্ডে তাদের বিচরণ থাকতে পারে। নেটওয়ার্ক থাকতে পারে। ফেসবুকে থাকতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকতে পারে। সেটা তাদের নিজস্ব।’
আইজিপি দেশীয় জঙ্গিদের ‘আইএস’ বলে চালানো একটা ‘প্রোপাগান্ডা’ (প্রচারণা) এবং ‘বেইজলেস প্রোপাগান্ডা’ (ভিত্তিহীন প্রচারণা) বলে উল্লেখ করেন। কারণ, তাঁর ভাষায়, গুলশানের ঘটনার পর আইএস হামলার দায় স্বীকার করলেও এরপর পুলিশি অভিযানে যাঁরা নিহত হয়েছেন, আইএস তাঁদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্মেলনে ১৪টি দেশের পুলিশের প্রতিনিধিরা ছাড়াও ফেসবুক, ইন্টারপোল গ্লোবাল কমপ্লেক্স ফর ইনোভেশন (আইজিসিআই), যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), আসিয়ানাপোল, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ট্রেনিং অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামসহ (আইসিআইটিএপি) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।#