দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জে এক পীর ও তার এক মুরিদকে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সেতাবগঞ্জের দৌলা গ্রামে ওই পীরের খানকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত ফরহাদ হোসেন চৌধুরী (৬৮) দৌলা খানকার পীর হিসেবে পরিচিত। তিনি দিনাজপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি। তিনি পৌর মেয়র পদে নির্বাচন করে দলীয় কোন্দরের কারণে হেরে যান। নির্বাচনে হেরে গিয়ে দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।
আর নিহত নারী মুরিদের নাম রুপালী বেগম (২২)। তিনি ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর গৃহকর্মীও ছিলেন।
পীরের এক আত্মীয় জানান, সোমবার বিকালে ফরহাদ হোসেন চৌধুরী দিনাজপুর শহরের বালুয়াডাঙ্গার বাড়ি থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে দৌলা গ্রামের খানকায় যান। সেখানে গ্রামের বাড়িতে ওঠেন। পরে ওই বাড়ি থেকে একশ’ গজ দূরে অবস্থিত খানকায় এশার নামাজ পড়তে যান। এশার নামাজের আজান দিলে তিনি খানকায় যান। সেখানে পীর ও তার নারী মুরিদের ওপর হামলা চালায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এ সময় তারা এই দু’জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কাটে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলিও করে। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা খানকায় গিয়ে পীর ও নারী মুরিদের গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। ততক্ষণে দুর্বৃত্তরা সটকে পড়ে।
খবর পেয়ে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার হামিদুল আলম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। রাত সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। বোচাগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে আছেন। লাশের সুরতহাল রিপোর্টসহ পরবর্তী প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, খানকার ত্বরিকা নিয়ে দ্বন্দ্বেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে স্থানীয় সুফি মহলের ধারণা, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে।