প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরেই তিস্তা চুক্তি হবে; গোপনীয়তার কিছু নেই: কাদের
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরেই তিস্তা চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ (বুধবার) সকালে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সরকারি কলেজ মাঠে শিক্ষার্থীদের নবীণ বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর ঢাকা সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হওয়ার সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে তা আটকে যায়। মমতার দাবি, বাংলাদেশকে কেন্দ্রীয় সরকার যত পানি দেয়ার কথা বলছে, তত পরিমাণ পানি তিস্তায় আসে না। পশ্চিমবঙ্গের উজানে গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় পশ্চিমবঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এরপর গত সাড়ে পাঁচ বছরে তিস্তার পানিবণ্টর চুক্তি নিয়ে পর্দার আড়ালে অনেক চেষ্টাই হচ্ছে। আর এই চেষ্টার ফল পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ৭ এপ্রিল চার দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ এপ্রিল তিনি সে দেশের সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে, শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সই হবে না বলে নানা সূত্র থেকে যখন খবর পাওয়া যাচ্ছে তখন ওবায়দুল কাদের জানালেন, তিস্তা চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরেই তা চূড়ান্ত হবে, তিস্তা চুক্তি হবে; এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে গেলে আমরা মেনে নেব। তাই বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। রাজনীতিতে চাওয়া-পাওয়ার কিছু ছিল না। দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। তাই প্রধানমন্ত্রী আমাকে মূল্যায়ন করেছেন।
তিনি বলেন, মানুষের জন্য কাজ না করে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী হওয়া যায় না। তাই অসহায় মানুষের কল্যাণে নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে। এসময় তিনি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। #