চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার প্রেমতলা এলাকার 'ছায়ানীড়' বাড়িতে অভিযানে নারীসহ ৪ জঙ্গি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযান চলাকালে আত্মঘাতী বোমায় নিহত হন তারা ।
এ সময় ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য এবং সোয়াত ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের দুই সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
'অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬' নামের এই জঙ্গিবিরোধী অভিযান শেষে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য দেন।
তিনি বলেন, 'অভিযান শেষে ওই বাড়িতে এক নারীসহ চার জঙ্গির লাশ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দু'জনের লাশ ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে।'
বাড়িটি থেকে বোমা ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারে কাজ চলছে বলেও জানান শফিকুল ইসলাম।
এদিকে ওই বাড়িতে জঙ্গিদের জিম্মিদশা থেকে দুটি পরিবারের ২০ সদস্যকে উদ্ধার করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে ঢাকা থেকে যাওয়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও সোয়াত টিম বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে।
বিশেষ এ দলের সঙ্গে অভিযানে চট্টগ্রামের সোয়াত, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরাও রয়েছে।
এর আগে বুধবার দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সোয়াত টিম। ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও সঙ্গে সঙ্গে অভিযান শুরু না করে অ্যাসেসমেন্ট করেন সোয়াত কর্মকর্তারা। পরে দিনের আলো ফোঁটার পর শুরু হয় 'অ্যাসল্ট-১৬' নামের এই অভিযান।
বুধবার রাতে জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা সাংবাদিকদের জানান, 'ছায়ানীড়' বাড়িতে ৫-৬ জন জঙ্গি এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলা-বারুদ মজুদ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
এর আগে বুধবার দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌরসভার লামারবাজার পশ্চিম আমিরাবাদে সাধন চন্দ্র ধরের মালিকানাধীন সাধন কুঠিরের নিচ তলায় অভিযান চালায় পুলিশ।
এ সময় সেখান থেকে ২ মাসের শিশুসহ এক জঙ্গি দম্পতিকে আটক করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার প্রেমতলায় ‘ছায়ানীড়’ নামে ওই জঙ্গি আস্তানায় পুলিশ অভিযান চালায়।