সাকিব-মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত ১৯৫ রানেই পড়ে যায় শ্রীলংকানদের ৭ উইকেট
সাকিব আল হাসান ৬০তম ওভারের প্রথম বলেই ৩৪ রান করা ডিকভেলাকে বোল্ড করেছেন। এরপরই ৬৫তম ওভারে দিলরুয়ান পেরেরাকে ফেরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ।
এর ফলে ১৯৫ রানেই পড়ে যায় শ্রীলংকানদের ৭ উইকেট। খেলার শুরু থেকেই লংকান ব্যাটসম্যানদের উপর চড়াও হয়ে খেলেন টাইগার বোলাররা।
দলীয় ১৩ রানে প্রথম আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। করুনারত্নেকে ব্যক্তিগত ৫ রানে মিরাজের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।
এরপরে ২৪ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের প্রথম শিকার হন কুশাল মেন্ডিজ। ব্যক্তিগত ৫ রানে স্ট্যাম্পিং হন তিনি।
দলীয় ৩৫ রানে মিরাজ আবারো আঘাত হানেন লংকান শিবিরে। এবারে উপল থারাঙ্গাকে ১১ রানে সৌম্যের ক্যাচে ফিরিয়ে দেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বোলিং পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন দলের স্কিপার মুশফিকুর রহিম। আর এতেই কাজ দেয়।
প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগে দলীয় ৭০ রানে গুনারত্নেকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন শুভাশিষ। এরআগে তিনি করেন ১৩ রান।
এরপরেই শুরু হয় মধ্যাহ্ন বিরতি।
মধ্যাহ্ন বিরতির পরে বড় জুটির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল চান্ডিমাল ও ধনঞ্জয়া সিলভা। কিন্তু ৬৬ রান করার পর ব্রেক থ্রু এনে দেন তাইজুল। ধনঞ্জয়া ৩৪ রানে তাইজুলের বলে বোল্ড হন।
প্রথম ৩ ওভারে কোনো রান করতে পারেনি শ্রীলংকান ব্যাটসম্যানরা। ৭০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে দলীয় রান ২০০। দিনেশ চান্ডিমাল ৭০ ও হেরাথ ১ রানে ব্যাট করছেন।
এরআগে বুধবার কলম্বোর পি সারা ওভাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলংকার অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথ।
বাংলাদেশ দলে ৪টি পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্যদিকে শ্রীলংকা দলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশ:
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শুভাশিষ রায়।
শ্রীলঙ্কা একাদশ:
করুনারত্নে, থারাঙ্গা, মেন্ডিস, চান্দিমাল, দিকওয়েলা, গুনারত্নে, পেরেরা, হেরাথ, সুরঙ্গ লাকমাল, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, সান্দাকান।