Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » লেবুর খোসায় কমে ব্যথা





শুধু লেবুতেই নয়, লেবুর খোসাতেও রয়েছে নানা উপকারিতা। খাওয়া শেষে ফেলে না দিয়ে বিভিন্ন কাজে লাগানো যেতে পারে খোসা। চলুন জেনে নিই লেবুর খোসায় কী কী উপকারিতা রয়েছে-

১. লেবুর খোসা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষ করে উচ্চরক্তচাপের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী।

২. লেবুর খোসা ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে।

৩. হাড়ের শক্তি বজায় রাখে।

৪. মুখ ও দাঁতের সুরক্ষা দেয়।

৫. ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৬. পাচনতন্ত্রে প্যারাসাইট এবং আন্ত্রিক কৃমির অতিবৃদ্ধি প্রতিরাধ করে।

৭. ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।

৮. মূত্রনালির ইনফেকশন ও টিউমারের ক্ষেত্রে উপকারী।

 ৯. লেবুর খোসায় পলিফেনল ফ্লাভোনয়েড থাকায় এটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

এ ছাড়াও লেবুর খোসা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আরো যে উপকার করে-

হার্টের জন্য

লেবুর খোসা খাওয়া হার্টের জন্য ভালো। লেবুর খোসা বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায়। এর মধ্যে পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়

লেবুর খোসায় থাকা ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ঠাণ্ডা, ফ্লু ও গলার ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে

লেবুর খোসার মধ্যে উপস্থিত ফাইবার বা আঁশ অন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে এবং বাউয়েল মুভমেন্ট ভালো করে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেট ফোলাভাব রোধেও সহায়তা করে।

ওজন কমায়

লেবুর খোসা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে যে পেকটিন রয়েছে, তা অন্ত্রের শর্করা শোষণ করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্যও লেবুর খোসা বেশ ভালো। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিপাকে সাহায্য করে।

হাড়ের স্বাস্থ্য

আশ্চর্য হলেও সত্যি লেবুর খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।

গেরোর ব্যথা

শরীরের দৈনিক ভিটামিন সি-এর চাহিদার ৩০ শতাংশ লেবু পূরণ করতে পারে। ভিটামিন সি-এর আছে নিরাময় ক্ষমতা। এটি প্রোটিনের বাঁধনে সাহায্য করে, যা টেনডনস, লিগামেন্ট এবং ত্বকের জন্য ভালো। তাই লেবু এবং লেবুর খোসা খেতে পারেন।

স্বাস্থ্যকর ত্বক

লেবুর খোসা কালো দাগ, বলি রেখা, বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক ভালো রাখতে এটা খেতেও পারেন এবং সরাসরি ত্বকে লাগাতেও পারেন।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করে

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে জুড়ি নেই লেবু বা কমলার খোসার। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং কিছুক্ষণ পরপর সারাদিন লেবু বা কমলার খোসা চিবাতে পারেন। এতে যেমন মাড়ি ভালো থাকবে তেমনি নিঃশ্বাসে থাকবে প্রাকৃতিক সজীবতা।

এছাড়াও লেবুর খোসার রয়েছে অন্যান্য ব্যবহার। যেগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে কাজে আসতে পারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক আরো কী কাজে আসতে পারে লেবুর খোসা-

রান্নায় ব্যবহার

চিকেন রোস্ট রান্নার সময় খাবারে লেবুর সুঘ্রাণ পেতে দুই-এক টুকরো লেবুর খোসা দিতে পারেন। সুঘ্রাণের পাশাপাশি খাবারও হবে সুস্বাদু।

কীটপতঙ্গ মুক্ত রাখতে

আলমারি বা ওয়ারড্রবকে কীটপতঙ্গ থেকে মুক্ত রাখতেও লেবুর খোসার জুড়ি নেই। লেবুর খোসা শুকিয়ে একটি ছোটো পলিপ্যাকে নিয়ে মোজা কিংবা অন্তর্বাসের ড্রয়ারে রেখে দিন। দুর্গন্ধ তো দূর হবেই, সঙ্গে সঙ্গে আপনার পোশাক হবে দারুণ সুরভিত।

দাগ তুলতে

কাটিং বোর্ডের সব ময়লা দাগ পরিষ্কার করতে লেবুর খোসা কেটে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। দেখবেন একেবারে ঝকঝকে হয়ে গেছে।

ফ্রিজের দুর্গন্ধ এড়াতে

ফ্রিজের ভেতরে দুর্গন্ধ এড়াতে রেখে দিতে পারেন দুই এক টুকরো লেবুর খোসা। এতে ফ্রিজ থাকবে লেবুর সুগন্ধময়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post