ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গাদের জীবিকাও নিশ্চিত করা হবে: কাদের
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবিসড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি একটি মানবিক সংকট। তাই পর্যটন শহর কক্সবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ওখানে তাদের শুধু পুনর্বাসন না, জীবিকাও নিশ্চিত করা হবে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার সৈকতের কলাতলী এলাকায় একটি সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার যত দিন রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না, তত দিন তাদের ঠেঙ্গারচরে মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কক্সবাজার একটি স্বাস্থ্যকর স্থান। এখানে বিপুলসংখ্যক পর্যটক ভ্রমণে আসেন। এখানে অতিরিক্ত কয়েক লাখ রোহিঙ্গার চাপ নানা ক্ষেত্রে সমস্যা ও সংকট সৃষ্টি করছে। তা ছাড়া এখানে অতিরিক্ত রোহিঙ্গা রাখার জায়গাও নেই। এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া জরুরি।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান, কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব) ফোরকান আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) গোলাম মো. রুহুল কুদ্দুস, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া প্রমুখ।
রানা প্রিয় বড়ুয়া জানান, প্রায় ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭০ মিটার লম্বা চার লাইনের এই সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সওজ। চলতি মাসের শেষের দিকে সড়কের উন্নয়নকাজ শুরু হবে। চার লাইনের ৩০ মিটার প্রস্থ এই সড়কের মধ্যে সার্ফিং ভাস্কর্য, ওয়াই–ফাই জোন, ফুলের বাগান, হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে থাকবে।
পরে মন্ত্রী কলাতলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত নির্মিতব্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়কের কিছু অংশ পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বলেন, আগামী এপ্রিল মাসে বহুল প্রত্যাশিত এই মেরিন ড্রাইভ সড়কের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তখন কক্সবাজারের চেহারা পাল্টে যাবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকে ভরপুর থাকবে এই অঞ্চল।