বৃহস্পতিবার জোহরের নামজের আজানের সময় হামলায় ওই ইমাম আহত হন। পরে রাত ১০টায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
হামলাকারী একই এলাকার ইয়াকুব খান বিপ্লব। মাদকসেবী হিসেবে সে এলাকায় পরিচিত।
ইমামের মেয়ে নাছিমা আক্তার বলেন, 'প্রতিদিনের মতো আমার বাবা মসজিদে জোহরের নামাজের আজান দিচ্ছিলেন। আজানরত অবস্থায় মসজিদে ঢুকে বিপ্লব উনার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উনাকে গুরুতর আহত করে।'
তিনি বলেন, 'বাবার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বিপ্লব দৌড়ে পালিয়ে যায়।'
পরে আশংকাজনক অবস্থায় ইমামকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই হাসপাতালেই রাত ১০টায় তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, দশপাড়া নূরানী জামে মসজিদে ইমাম নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। এনিয়েই এক পক্ষ হামলা করেছে। হামলাকারী একজন মাদকসেবী।
নিহত ইমামের মেয়ের জামাই এসএম সাঈদ ইবনে আফিজ বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে হামলাকারী বিপ্লবকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, মসজিদের ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে তার শ্বশুরকে হত্যা করা হয়েছে। কেননা এলাকার একপক্ষ ইমাম হিসেবে উনাকে রাখতে চান, অপরপক্ষ সরাতে চান।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. রফিকুল ইসলাম জানান, রাতেই হামলাকারী বিপ্লবকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মো. কুতুব উদ্দিন জানান, আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।