চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশে বার বার সময় নেয়ার কারণ জানানোর নির্দেশ
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দেয়। গেজেট প্রকাশে এর আগে সর্বশেষ এক সপ্তাহ সময় নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। আজ আরও দুই সপ্তাহ সময়ের আবেদন করে রষ্ট্রপক্ষ। বার বার সময় চাওয়ার কারণ কাল সোমবার লিখিলতভাবে জানাতে নির্দেশ দেয় আজ আপিল বিভাগ।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নাই। এটাকে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে এটার বিশেষ অংশ সংশোধন করে পুনরায় পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমি আদালতের কাছে সেই কথাটি বলেছি এটা পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আদালত আমাকে লিখিতভাবে উল্লেখ করে দরখাস্ত করতে বলেছেন। আগামীকাল সেটি দেয়া হবে।”
মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়। ওই রায়ে আপিল বিভাগ বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থি ও বাতিল ঘোষণা করে। একইসঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেয় আদালত।
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি বলে জানায় আপিল বিভাগ