তিনি বলেন, কানাডার আদালত পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির মামলায় যে রায় দিয়েছে তাতে প্রমাণিত হয়- এতে কোন দুর্নীতি হয়নি। ওই সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমাদের মর্যাদা হানি করার জন্য যে অপচেষ্টা হয়েছিল তা ব্যর্থ হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখানো মর্যাদার সাথে বেঁচে আছি। ওই মামলা তদন্তের জন্য যে ওকাম্পো সাহেব দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় আদালতে দুর্নীতির মামলা হয়েছে। দুর্নীতি করেন ওনারা, আর তার খেসারত দিতে হয় আমাদের।’
তিনি আজ রাজধানীর মিরপুরে মার্কস মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ও বিডিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মার্কস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক মাসুদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ফরিদা মাসুদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সানাল, মার্ক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগের কারণে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে বাংলায় একটা কথা আছে সাপে বর হয়। বিশ্ব ব্যাংকের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি কিনা আমি জানিনা। আমার মনে হয় আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হইনি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা আজ শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে নিজ খরচে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারছি। এটা কিন্তু একটি মর্যাদার বিষয়। আর যদি আমাদেরকে সেদিন ঋণটা দিতো আমরা হয়তো চেষ্টা করে এই সেতু করতাম না। সেই কারণে আমি বলবো তারা যে অর্থ দেয় নাই এতে আমাদের দুটো লাভ হয়েছে। আমাদের সুদগুণতে হবে না, আর আমরা যে নিজেদের অর্থে এতবড় একটা কাজ করতে পারি সেটা আমরা দেখাতে পেরেছি। এটা বিশ্বে আমাদের মর্যাদার বিষয়।
তিনি বলেন, ‘আর বিশ্বব্যাংক কাগজপত্রের ভিত্তিতে যে কিছু করে না তা প্রমাণিত হয়েছে। তারা দু-তিন জন ব্যক্তির স্বার্থের কারণে একটা নির্দোষ দেশকে দোষী করার চেষ্টা করেছে। এটা দুঃখ জনক।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার খসড়া গেজেটে প্রকাশ করার প্রয়োজন নাই মর্মে রাষ্ট্রপতি ইতিপূর্বে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। খসড়াটির যেখানে যেখানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার অসামঞ্জস্যতা দেখা দিয়েছে সেগুলো পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করার ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির সাথে আলোচনা হয়েছে এবং তা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়েছে।
খসড়াটিতে যেসব পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা হয়েছে সেগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তার মনে হয় রাষ্ট্রপতি শিগগিরই গেজেট করার অনুমতি দেবেন।’
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সাথে সরকার কখনোই দ্বি-মুখী থাকতে চায় না। তিনি বলেন, মাঝে মাঝে অনেক কিছুর বা অনেক শব্দের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়ে যায়, যাতে কোন সময়ে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়। বিচার বিভাগের সাথে সরকার বিপরীত পথে হাঁটছে না বলেও তিনি জানান।