শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সদ্যপ্রয়াত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মরণে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত স্মরণসভায় মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'আপনার জার্সি পরে আসেন। আপনাদের জার্সি ধানের শীষ, আমাদের নৌকা। দেখি কে জেতে? রেফারি ঠিক হয়ে গেছে। আপনারা দ্রুত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। আমরা মাঠে লড়াই করে আপনাদের পরাজিত করতে চাই।'
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পর্কে নাসিম বলেন, রাষ্ট্রপতি একক ক্ষমতাবলে ইসি গঠন না করে সবার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিএনপি প্রথমেই এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করলেও পরে জনগণ ক্ষেপে যাওয়ায় এখানে নাম দিয়েছে। বিএনপির সমস্যা হচ্ছে কোনো কিছু শুরু হলেই তারা চাপসৃষ্টির জন্য নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেয়।
তিনি বলেন, বিতর্ক সৃষ্টি করে লাভ হবে না। আগামী নির্বাচনে মাঠে কাজ করা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির পক্ষেই জনগণ রায় দেবে।
নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও বিচারবিভাগ শক্তিশালী করেছেন। আওয়ামী লীগ ছয়টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেরেছে, কিন্তু কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাদ দেয়নি। কোনো নির্বাচন, এমনকি শেষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে 'অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব' আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তার মৃত্যুর পর সংসদ নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে। এতো দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান আর দেখিনি, বাকি জীবনেও দেখবো বলে মনে হয় না।'
সভায় খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। না নিলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না। তবে নির্বাচনকালীন সরকারে তাদের অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সংসদে তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে যারা দেশে গণহত্যার বিপ্লব করতে চেয়েছিল, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ একটি মতবাদ। এই মতবাদকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে। রাষ্ট্রক্ষমতা খালেদা জিয়ার হাতে গেলে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন মহিবুর রহমান মানিক এমপি, অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, ড. ইনামুল হক, শাহে আলম মুরাদ, মনোরঞ্জন ঘোষাল, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।