ফরিদপুরের নগরকান্দায় কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বাসে লাগা আগুনে পুড়ে যাওয়া ১৩ জনের ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় জানার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. কামরুজ্জামান।
শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের পর বাসে আগুন ধরে যায়। এতে দুই চালকসহ ১৩ জন পুড়ে যায়। আহত হন অন্তত ৩৩ জন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে নড়াইল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-০৩২৩) হানিফ পরিবহনের একটি বাস ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা পারভেজ ট্রান্সপোর্টের একটি কাভার্ডভ্যানের (ঢাকা মেট্রো ট- ১৮-৫০৭০) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
শনিবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, 'মরদেহ পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তা সনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ টেস্ট করার প্রয়োজন।'
তিনি বলেন, 'মরদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য শনিবার দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাবে। সেক্ষেত্রে প্রতিবেদন পেতে ১৫/২০ দিন সময় লাগতে পারে।'
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক এ বি এম মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, সংঘর্ষের পর গাড়ির ব্যাটারি বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
নগরকান্দা থানার ওসি এ এফ এম নাসিম জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায়। ভোরে পুড়ে যাওয়া বাসটি পুলিশ র্যাকার দিয়ে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ওসি ইজাজুল ইসলাম জানান, আগুনে পুড়ে যাওয়ায় নিহতদের কাউকেই সুনির্দ্দিষ্টভাবে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নিহতদের মরদেহ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে গোপালগঞ্জ সদরের ডা. গোলাম রসুল এর মরদেহ তার পরনের কোট ও টাই এর অংশ বিশেষ দেখে লাশ শনাক্ত করেছেন তার স্বজনেরা।
ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, 'ময়না তদন্ত শেষে মরদেহগুলো দেখে যদি স্বজনরা সনাক্ত করতে পারেন সেক্ষেত্রে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া প্রপার আইডেন্টিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।