সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের আপিল শুনানি ১৫ নভেম্বর
দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল এইচ এম এরশাদের আপিলের শুনানির জন্য ১৫ নভেম্বর দিন ঠিক করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ মঙ্গলবার শুনানির জন্য এই দিন ঠিক করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এরশাদের পক্ষে ছিলেন শেখ সিরাজুল ইসলাম।
খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের জানান, দুই সপ্তাহ নিয়ে ১৫ নভেম্বর দিন ঠিক করা হয়েছে। এরপর শুনানিতে আর কোনো মুলতবির আবেদন করতে পারবেন না।
২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এইচ এম এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয়েছে দুদক। এরপর মামলায় আপিল শুনানির দিন ঠিক করতে ২২ আগস্ট আবেদন করেছিলো দুদক। আবেদনটি কয়েক দফা কার্যতালিকায় আসলেও মামলার নথি না আসায় এর আগে শুনানি শুরু হয়নি।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এরশাদ বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়নি বলে অভিযোগ আনা হয়। সেই অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সেনানিবাস থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ১ কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।
এই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত এরশাদকে তিন বছরের সাজা দিয়েছিল। দণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিল করেন এরশাদ আপিল করেন।
১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহাররাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮জানুয়ারি তত্কালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায়মামলাটি করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনাহয়।
ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদের তিনবছরের সাজা হয়। একই সঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশদেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদ ১৯৯২ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন।
No comments: