এফবিআই’র ‘দ্বৈত অবস্থানের’ সমালোচনা হিলারি শিবিরের
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইল নিয়ে নতুন করে তদন্তের ঘোষণা দেয়ায় এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির ব্যাপক সমালোচনা করে হিলারির প্রচার শিবির বলেছে, তিনি ‘স্পষ্ট দ্বৈত অবস্থান’ নিয়েছেন।
হিলারির ই-মেইল হ্যাকিংসহ মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ জনসম্মুখে প্রকাশ করার বিরোধী কোমি মার্কিন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর তার সম্পর্কে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে রুশ বিষয়ক তথ্য প্রকাশের বিষয়টি নিয়ে কোমি’র উদ্বেগ রয়েছে।
তবে এফবিআই এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দারা নিশ্চিত যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার লক্ষে দেশটির রাজনৈতিক সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল চুরি ও ফাঁসের নির্দেশ রাশিয়া সরকার দিয়েছে।
কোমিও এর সঙ্গে একমত। তবে তিনি নির্বাচনের আগে তা প্রকাশ্যে বলার বিরোধী।
অভিযোগ উঠেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে ডেমোক্রেটদের লক্ষে পরিণত করেছে রুশ হ্যাকাররা।
হিলারির প্রচার শিবিরের ব্যবস্থাপক রবি মুক বলেন, এফবিআই’র দ্বৈত অবস্থান স্পষ্ট। তিনি অবিলম্বে এ ধরণের কর্মকান্ডের সুষ্ঠু ব্যাখ্যা ও হিলারির সঙ্গে যে ধরণের আচরণ করেছেন ঠিক একই ধরণের অবস্থান ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি করার জন্যও কোমির প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
নির্বাচনের মাত্র ক’দিন আগে এফবিআই নতুন করে হিলারির ই-মেইল চালাচালির ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দেয়ায় নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি শুক্রবার কংগ্রেসকে এক চিঠিতে বলেন, হিলারির আরো কিছু ই-মেইলের খোঁজ পাওয়ায় এফবিআই নতুন করে তা তদন্ত করবে।
হিলারি ঘনিষ্ঠ সহযোগী হুমা আবেদিনের সাবেক স্বামী অ্যান্থনি ওয়েনারের ল্যাপটপে ই-মেইলগুলো পাওয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৫ সালে প্রথম হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল চালাচালির বিষয়টি ফাঁস হয়। এ সময় এফবিআই তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিল। এ কারণে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থাটি। এফবিআই বলেছে, হিলারির ই-মেইল ব্যবহারের পূর্ববর্তী তদন্তের সঙ্গে নতুন করে পাওয়া ই-মেইলের প্রাসঙ্গিকতা থাকতে পারে।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর পর থেকেই এই বিষয়টিকে হিলারির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ বা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
এফবিআই বলেছে, হিলারির ই-মেইল ব্যবহারের পূর্ববর্তী তদন্তের সঙ্গে নতুন করে পাওয়া ই-মেইলের প্রাসঙ্গিকতা থাকতে পারে।
হিলারি শিবির এফবিআই’র পুনঃতদন্তের ঘটনার সমালোচনা করলেও ট্রাম্প শিবির এর ভূয়সী প্রশংসা করেছে।
হিলারির ই-মেইলের ঘটনা নির্বাচনে কতটা প্রভাব রাখবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এর বেশ প্রভাব থাকবে বলে অনেকে মতামত দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব বোস্টনের অধ্যাপক নাজলি কিবরিয়া বলছেন, এতো স্বল্প সময়ের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করে ফলাফল জানা হয়তো সম্ভব হবে না। তবে এখনো ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি, এমন কিছু ভোট হয়তো হিলারির হাতছাড়া হতে পারে।
No comments: