প্যারিস চুক্তির সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহবান স্পিকারের
স্পিকার ও সিপিএ’র চেয়ারপার্সন ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবজনিত কারণে প্যারিস চুক্তির আলোকে বাংলাদেশের জন্য যে সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে সে সুযোগকে পুরাপুরি কাজে লাগানোর আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আজ সিরডাপ মিলনায়তনে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সম্পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ (এপিপিজি) আয়োজিত ২২তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন- কপ-২২ প্যারিস চুক্তি ২০১৫ এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।
স্পিকার বলেন, ‘গ্রীন হাউজ নিঃসরন মানব জাতির জন্য হুমকী স্বরুপ। যে গ্যাস নির্গমনের জন্য আমরা দায়ী নই। তবে এর বিরুপ প্রভাব আমাদের বহন করতে হচ্ছে যা মানবাধীকারের সাথে সাংঘর্ষিক।’
তিনি পরিবর্তিত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে যে এ্যাডহক ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরী হয়েছে তাদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার পাশাপাশি যৌক্তিক দাবীগুলো চিহ্নিত করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মেলনে জোরালোভাবে তুলে ধরার আহবান জানান।
স্পিকার বলেন, সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এবং সংসদ সদস্যবৃন্দ স্বতস্ফুর্তভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করতে পারেন এবং তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সংগে বসে সংসদ সদস্যগণের সমন্বয়ে একটি প্রস্তাব তৈরী করে এ্যাডপটেশনের ক্ষেত্রগুলো বিশ্লেষন করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে সম্মেলনে উপস্থাপন করার আহবান জানান।
স্পিকার আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ থেকে চ্যাম্পিয়ান্স অব দি আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার দৃঢ় ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অবশ্যই এগিয়ে যাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে।
এপিপিজির সেক্রেটারি জেনারেল শিশির শীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যাালয়ের অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মি ও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন অক্সফামের কান্ট্রি ডিরেক্টর সেনহাল ভি সোনেজি।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এমপি, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এমপি, ফখরুল এমাম এমপি, নাভানা আক্তার এমপি, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এমপি, নবী নেওয়াজ এমপি, ইসরাফিল আলম এমপি এবং কাজী রোজী এমপি, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, ড. লিয়াকত আলী, ড. জয়নুল আবেদীন বক্তৃতা করেন।
No comments: