ই-মেইল তদন্ত নিয়ে এবার খোদ এএফবিআইর কর্মকর্তারাই দ্বিধাবিভক্ত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে নতুন করে হিলারির একগুচ্ছ ই-মেইল তদন্তের ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) প্রধান জেমস কমি বিস্ময়ের সৃষ্টি করেন। এ নিয়ে বিচার বিভাগ আগেই সমালোচনা করেছিল। এবার খোদ এএফবিআইর কর্মকর্তারাই দ্বিধাবিভক্ত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক টানাপড়েন। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।
এফবিআই তদন্তকারীরা একটি ল্যাপটপে সাড়ে ছয় লাখ ই-মেইলের সন্ধান পান। ধারণা করা হচ্ছে, ল্যাপটপটি ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক কংগ্রেসম্যান অ্যান্থনি ওয়েইনার এবং তার সাবেক স্ত্রী হুমা আবেদিন ব্যবহার করেছিলেন। আবেদিন হিলারির খুবই ঘনিষ্ঠদের একজন। এ বিষয়ে জ্ঞাত অনেকেই মনে করছেন, এসব মেটা ডাটা সেই আভাস দিচ্ছে যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি হয়তো হাজারখানেক বার্তা ব্যক্তিগত সার্ভারে বা তা থেকে পাঠিয়েছিলেন। এসব তথ্য তদন্ত করতে সপ্তাহখানেক বা তার বেশি সময়ও লাগতে পারে। তবে নির্বাচনের এ ব্যস্ত সময়ে সব তথ্যের নির্ভুল তদন্ত কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে এএফবিআই কর্মকর্তাদের মধ্যে বিবাদ বাধছে। উল্লেখ্য, নিজের কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও গত জুলাইয়েই ই-মেইল তদন্তের লাগাম টানার ঘোষণা দিয়েছিল এফবিআই। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার নতুন করে ই-মেইল তদন্তের ঘোষণা ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটকে হতবাক করলেও তার চেয়ে পিছিয়ে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। এ ঘোষণা আসার আগেই বিচার বিভাগ এর সমালোচনা করেছিল। এমনকি মার্কিন বিচারকরাও এর বিরোধিতা করে হিলারির পক্ষে দাঁড়ান। অনেক বিশ্লেষকই মনে করছেন, এ তদন্তের ঘোষণা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে, এমনকি হিলারির পরাজয় ডেকে আনতে পারে। অন্যদিকে জয়ী হলেও ক্ষমতার মেয়াদের শুরুটা এই ই-মেইল তদন্তের কারণে বেশ জটিল হয়ে উঠবে।
No comments: