জনগণের কাছে যান, তাদের মন জয় করুন-----ওবায়দুল কাদের

 জনগণের কাছে যান, তাদের মন জয় করুন-----ওবায়দুল কাদের

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের কাছে যান, তাদের মন জয় করুন। যারা খারাপ আচরণ করেছেন, ভুল করেছেন, তারা জনগণের কাছে ক্ষমা চান।

তিনি বলেন, 'নিজেদের সংশোধন করুন। জনগণের মন জয় করাই আমাদের পরবর্তী এজেন্ডা।'

মঙ্গলবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের ভালোবাসা অর্জন এবং মন জয় করতে হবে। নিজেদের সংশোধন করতে হবে। অন্যথায় অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সেই অ্যাকশন শুরু হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, 'আমরা এখন সর্বশক্তি নিয়ে নেমে যাবো, জনগণের কাছে যাবো। জনগণকে খুশি করাই আমাদের পরবর্তী এজেন্ডা। যারা আচরণগতভাবে একটু খারাপ, ক্ষমতার অহংকারে জনগণের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন, তারা শুদ্ধ হয়ে যান, সংশোধন করুন।'

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা ভুল করেছেন, তিনি যে এলাকার সেই এলাকার জনগণের কাছে ক্ষমা চান। যারা আমাদের নির্বাচিত করেছে, তাদের কাছে চাইতে আমাদের কোনো লজ্জা নেই।'

তিনি বলেন, 'কারো খারাপ আচরণের কাছে আমাদের নেত্রীর অর্জনকে জিম্মি করতে পারি না। এর জন্য শাস্তি পেতে হবে। ডিসিপ্লিন ভঙ্গ করলে ডিসিপ্লিনারি শাস্তি পেতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো আপস নেই।'

সেতুমন্ত্রী বলেন, 'সরকার শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ দুর্বল হলে সরকারের মধ্যে হারিয়ে যাবে, এটা আওয়ামী লীগের জন্য শুভলক্ষণ নয়। দলের মধ্যে সরকার হারিয়ে যাবে, সরকারের মধ্যে দল হারাবে না। এটাই আমাদের লক্ষ্য।'

এসময় তিনি বলেন, '১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর এবং ২১ আগস্ট একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। এগুলো ছিল আমাদের নেতৃত্বশূন্য করে দেয়ার সুগভীর চক্রান্ত।'

ওবায়দুল কাদের বক্তব্য শুরু করলে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, 'এখন স্লোগান বন্ধ করুন। সুসময়ে অনেকেই স্লোগান দেন, গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা করেন। দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও অনেককেই খুঁজে পাওয়া যায় না। এরা চোরাইপথে পালিয়ে যায়।'

এসময় নেতাকর্মীরা বলতে থাকেন- 'হাইব্রিড চাই না, হাইব্রিড বাদ দেন'। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমি এখন এই শব্দ ব্যবহার করবো না, কারণ আমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক।'

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ।