বরগুনার আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের গরু ব্যবসায়ী নয়া মিয়া ফরাজী হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসি এবং দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বুধবার সকাল ১১টায় বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়ার জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় দেন। রায়ের সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. শহিদুল চৌকিদার, বারেক চৌকিদার, বশির মাতুব্বর ও মোয়াজ্জেম। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুর রব চৌকিদার ও মজিবর। ১৯ জনের স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার সাড়ে চার বছর পর এ রায় দেওয়া হলো।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ১০ এপ্রিল বিকেলে আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের গরু ব্যবসায়ী নয়া মিয়া পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া বাজারে যান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন। রাত ৮টার দিকে স্থানীয় খুরিয়ার খেয়াঘাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে তুলে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে নয়া মিয়ার ছেলে ও মামলার বাদী নাসির তাকে উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নয়া মিয়া ওই রাতেই মারা যান। পরেরদিন এ ঘটনায় নয়া মিয়ার ছেলে মো. নাসির বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে আমতলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
No comments: