Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে মিথ্যাচারে ভরা ট্রাম্পের বক্তব্য






 মিথ্যাচারে ভরা ট্রাম্পের বক্তব্য

নিউইয়র্কের হফস্ট্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অবতীর্ণ হয়েছিলেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তারা বিভিন্ন বিষয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। হিলারি এ সময় সতর্ক থাকলেও প্রতিপক্ষকে যে কোনো মূল্যে ধরাশায়ী করতে যেন নির্লজ্জ মিথ্যাচারের পসরা সাজিয়ে বসেন ট্রাম্প। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের এই যুগে ট্রাম্পের মিথ্যাচার সহজেই ধরা পড়ে গেছে। পক্ষান্তরে হিলারির বক্তব্যে কোনো মিথ্যা না থাকলেও কয়েকটি ইস্যুতে অস্পষ্ট ও ভিন্ন পথে প্রবাহিত হয় এমন বক্তব্য ছিল। বিতর্কে উপস্থিত সিএনএনের প্রতিবেদক, গবেষক ও সম্পাদকের সমন্বয়ে গঠিত সত্যতা যাচাই দল এক প্রতিবেদনে জানায়, বিভিন্ন ইস্যুতে উভয় প্রার্থীর বর্তমান ও আগের অবস্থান পর্যালোচনা করেছেন তারা।
জলবায়ু পরিবর্তন :এই বিষয়ে উভয় প্রার্থীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে সিএনএন প্রতিবেদক লরা কোরান বলেন, বিতর্কে হিলারি বলেছেন, ট্রাম্প মনে করেন জলবায়ু পরিবর্তনটা স্রেফ চীনের ধোঁকাবাজি। কিন্তু এ ধরনের কথা বলেননি বলে ট্রাম্প এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন। আসল বিষয়টি হলো, ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, চীনের জন্যই বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে।
কর্মসংস্থান :সিএনএনের ব্যবসাবিষয়ক প্রতিবেদক টামি লুহবি বিশ্লেষণ করেছেন কর্মসংস্থান নিয়ে উভয় প্রার্থীর বক্তব্যের। হিলারি অভিযোগ করেন, তিনি যে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করেছেন, তাতে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কিন্তু ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ৩৫ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ হারাবে। এ ব্যাপারে বিশ্লেষক মার্ক জান্দি বলেন, অর্থনীতির গতিশীলতার কারণে এমনিতেই ৭০ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তবে হিলারির উদ্যোগের ফলে ৩৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে হিলারি সত্য কথা বললেও তার বক্তব্যে অস্পষ্টতা আছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশীদারিত্ব চুক্তি (টিটিপি) :বিতর্কে ট্রাম্প বলেন, হিলারি প্রেসিডেন্ট হলে টিটিপি চুক্তিকে অনুসমর্থন করবেন। উত্তরে হিলারি বলেন, আমি বলেছি, বিষয়টি ভালো। তবে যখন এ নিয়ে আলোচনা হয়, তার অংশ আমি ছিলাম না। অথচ রেকর্ড বলছে, ২০১২ সালে হিলারি এক বক্তব্যে এই চুক্তিকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু বিতর্কে তিনি সেটি অস্বীকার করেন। তবে প্রেসিডেন্ট হলে তিনি এই চুক্তিকে অনুসমর্থন দেবেন এমন দাবি কখনোই করেননি। তাই ট্রাম্প এই অভিযোগ করে মিথ্যাচার করেছেন।
ট্রাম্পের ব্যবসা :ট্রাম্প সব সময়ই দাবি করেন, তিনি আত্মনির্ভরশীল ও নিজের চেষ্টাতেই আজকের এই অবস্থানে এসেছেন। কিন্তু তার এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে হিলারি বলেন, ট্রাম্প আত্মনির্ভরশীল নয় বরং ভাগ্যবান। কারণ তার বাবার কাছ থেকে এক কোটি ৪০ লাখ ডলার নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। বিষয়টি ধরে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, ১৯৮৫ সালে ক্যাসিনো ব্যবসার জন্য ট্রাম্পের নেওয়া লাইসেন্স থেকে বোঝা যায়, সে সময় তিনি তার বাবার কাছ থেকে সত্যিই ওই পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন। তাই নিজেকে আত্মনির্ভরশীল দাবি করে ট্রাম্প একরকম মিথ্যাচারই করেছেন।
জাতীয় ঋণ :ট্রাম্প অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন, তিনি নির্বাচিত হলে আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় ?ঋণের পরিমাণ কমাবেন। অথচ হিলারি যখন এই প্রসঙ্গ তুলেছেন, তখন ট্রাম্প তা অস্বীকার করেন। গৃহায়ন সংকটের পেছনে ট্রাম্পকে দায়ী করেন হিলারি। ২০০৬ সালে এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেছিলেন, আমার প্রত্যাশা পুরো প্রক্রিয়াটি ভেঙে পড়ুক। তারপর আমি এতে ঢুকব আর কিছু পয়সা কামাব।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ :অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও পুলিশের বিতর্কিত 'থামানো-জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি' বা স্টপ অ্যান্ড ফ্রিস্ক নীতি নিয়ে মিথ্যাচার করেন ট্রাম্প। বিতর্কে তিনি দাবি করেন, নিউইয়র্কে স্টপ অ্যান্ড ফ্রিস্ক অসাংবিধানিক নয়। অথচ ২০১৩ সালে নিউইয়র্কের মেয়র ব্লুমবার্গের নেওয়া এই নীতি কেন্দ্রীয় আদালত বাতিল করে দেন।
ওবামার জন্মস্থান :ট্রাম্প দাবি করেন, বার্থার আন্দোলন তথা বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্মস্থান নিয়ে বিতর্ক, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য শুরু হয় ২০০৮ সালে ক্লিনটন ক্যাম্পেইন থেকেই। এজন্য তিনি ক্লিনটনের বন্ধু সিডনি ব্লু মেন্থালকে দায়ী করেন। ব্লু মেন্থালই বিষয়টি সাংবাদিকদের বলেছেন বলে দাবি করেন তিনি। অথচ ব্লু মেন্থাল এমন কিছু করেছেন তার কোনো প্রমাণ নেই।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply